কবিতা বিশেষ সংখ্যা

পরিচিত নামের সন্ধানে | মুহিন তপু | কবিতা উৎসব

ক্লান্ত দিনের আলো, বাড়ি ছুইছুই—কোথাও ঘুম ভাঙে মাগরিবের। গানে সুর ধরলে মুয়াজ্জিন, কাঁসার থালায় বেজে ওঠে সন্ধ্যা, ঘরে ঘরে সন্ধ্যাবাতি জ্বলে। বালকেরা ধুলো ঝেড়ে ঘরে ঢোকে। দূর-দিনে এমন দেখেছিলাম। এই কিছুটা বর্ণনা…. সাঁকোর পাশে এটা কি আলোদের গ্রাম? লাঠি হাতে অপরিচিত বুড়ো চায় পরিচিত নামের সন্ধান… সাঁকোটা পার হলে এতদিন তাই জানতো লোকে। উনাকে বললাম।

Read More
কবিতা বিশেষ সংখ্যা

শ্বেতা শতাব্দী এষ | তৃষ্ণা ও তরঙ্গ | কবিতা | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

কী সেই তরঙ্গ যার লালে ফুটে ওঠেচোখের আকাশ এমন তৃষ্ণায়!অপরিশোধিত রোদ কপালে লিখে দেয়ধৈর্যের নাম। কোথাও যায়নি সেব্যথার শরীর থেকে জন্মানো নদী ছুটে যায়— মায়া ও মৃত্যু ধুয়ে নির্লিপ্ত! অনেক অনেকমোহ থেকে সূত্র দাও—সাহিত্য ও সুরেরযত নাম; নয়তো বোকা তুমি; এইসব‘তাদের’ ভিড়ে বেমানান; বেমানান! উহ্য একটা ছুরি। অবিরত কাটে দশদিক।শাদাসূর্যের ট্রেন ছুটে যায়—পার হয়েআকাঙ্ক্ষার লাল।

Read More
কথাসাহিত্য ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যা

মিথ | রুমা মোদক | ছোটগল্প | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০ 

দরজাটা পুরোই ভেজানো। আধভেজা জানালার ফাঁক দিয়ে মেঘে খাওয়া ধূসর রোদ ঘরের ভেতরে গলে গলে পড়ছে নিতান্ত অনিচ্ছায়, কিছুটা কুণ্ঠায় আর যেন কিছুটা লজ্জায়ও। সেদিকে চোখ যেতেই হঠাৎ ঘুরে ওঠে রহমতের মাথাটা। দীর্ঘক্ষণ অব্যবহৃত পড়ে থেকে হঠাৎ স্টার্ট নেয়া গাড়ি যেমন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, তেমন। এটা কী দেখলো সে! দৃষ্টিতে ধরা পড়ে যাওয়া মুহূর্তের একটা

Read More
কথাসাহিত্য ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যা

ভাগ্যপরীক্ষা | বিমল লামা | ছোটগল্প | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

ছোটবেলা থেকেই ভাগ্য পরীক্ষার বাতিক ডাবুর। ছোটবেলা মানে যখন স্কুলেও ভর্তি হয়নি। বছর পাঁচেক বয়স হয়তো। নিজেরই খেলনাপাতি নিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করত একা একাই। কখনও সামিল করে নিতো মা-বাবা কি বোনকে। নয়তো যাকে কাছে পেত তাকেই।হয়তো একটা বল আছে ডাবুর কাছে। এলোমেলো ছুঁড়ে দিত ওপরের দিকে। বলটা ড্রপ খেতে খেতে যার গায়ে ঠেকবে, তাকেই ঘোড়া

Read More
কথাসাহিত্য ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যা

গ্র্যাফিত্তি রিপু | ফেরদৌস সাজেদীন | ছোটগল্প | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

সজীবের সকাল হয় সকাল সকাল। এত সকালে তার বিছানা ছাড়তে হবে এর কোন কারণ নেই। আর পাঁচজনের মত তার কোন কাজ নেই; তার অফিস নেই, স্কুল নেই। সে কিছুই করে না। কিছুই করে না তবুও বাড়ির আর সবাই ঘুমিয়ে থাকলেও, সে উঠে পড়ে। উঠতেই হয়, কারণ, তার চোখে ঘুম নেই। নেই কী, সে কখনই ঘুমায়

Read More
কবিতা বিশেষ সংখ্যা

জেসিন্থা কেরকেট্ট্যা | দেবলীনা চক্রবর্তী অনূদিত আদিবাসী কবিতাগুচ্ছ | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

জেসিন্থা কেরকেট্ট্যা আদিবাসী সংবেদনশীল ও মননশীল নতুন প্রজন্মের কবি। তাঁর জন্ম ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার খুদপোষ গ্রামের এক গরিব আদিবাসী পরিবারে ৩ আগস্ট ১৯৮৩ সালে। জেসিন্থার কবিতা বিভিন্ন ভারতীয় ও বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অর্জন করেছে দেশী-বিদেশী অসংখ্যা পুরস্কার ও সম্মাননা। মিলান ইউনিভার্সিটি, জুরিখ ইউনিভার্সিটি, তুরিন ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্বকবিতামঞ্চ থেকে তাঁকে কবিতা পাঠের আমন্ত্রণ জানানো

Read More
গদ্য বিশেষ সংখ্যা

টিপু সুলতানের প্রাসাদে ফাতিমা জাহান ভ্রমণ উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

টিপু সুলতান মনস্থির করলেন আব্বা হুজুরের করে যাওয়া অসমাপ্ত প্রাসাদকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবেন। টিপুর জীবনে ঝক্কিরও অন্ত নেই। রাজ্যশাসন, ইংরেজ দমন, অন্য রাজ্যের সাথে সুসম্পর্ক বা মনোমালিন্য ইত্যাদিতে নতুন প্রাসাদ গড়ার সময় মেলা ভার।ইতিমধ্যে তৃতীয় অ্যংলো মাইসোর যুদ্ধ লেগে গিয়েছে। কোডাগু, বেদেনুর, কারনাটিক প্রতিবেশীরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দিচ্ছে না। মারাঠাদের সাথেও বেশ কয়েক বছর ধরে

Read More
কথাসাহিত্য ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যা

সেদিন শুক্রবার ছিলো | খান মুহাম্মদ রুমেল | ছোটগল্প | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

সন্ধ্যায় জানতে চেয়েছিলে এখানে শীত কেমন? বলেছিলাম ঢাকার মতোই অনেকটা। কিন্তু এখন প্রায় মাঝরাতে জেঁকে বসেছে শীত। খোলা জানালা দিয়ে হুহু করে বাতাস আসছিল। মাত্র বন্ধ করে দিলাম জানালাটা। এখন কম্বল মুড়ি দিয়ে আরামদায়ক উষ্ণতার ভেতর আছি। অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করছিলাম একটা সুন্দর কবিতা লেখার। পড়ে যেন মনের অজান্তেই তুমি বলে ওঠ, বাহ! কিন্তু আমি

Read More
গদ্য বিশেষ সংখ্যা

কবিতার জন্মান্তর | অগ্নি রায় | গদ্য | উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

আমরা তো এটা জেনেই এই অলীক ঢেঁকিতে ধান ভানতে ঝাঁপিয়েছি যে এমন কোনও ত্রিপাদভূমি নেই যেখানে কবিতার ঈশ্বর পা রাখেননি বা আগামী দিনে রাখবেন না! এমন একটা সন্ধি সময়ের মধ্যে দিয়ে এক বা একাধিক বার বোধহয় সব কবিতা লেখককে যেতে হয়। সে তিনি ছোটো বা মেজো, পুজিত বা পূজারি, স্তাবক বা বিচ্ছিন্ন যেমনই হোন না

Read More
কথাসাহিত্য ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যা

‘হাতে রুপালি ডট পেন, বুকে লেবুপাতার বাগান’ অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটগল্প উৎসব সংখ্যা ১৪৩০

সেই বাড়িতে ফুলের বাগান নেই। বাগান করবে কোথায়! জমিই তো নেই! থাকার মধ্যে রয়েছে একটা ছাদ। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো সেই চৌকো ছাদে উঠবার সিঁড়িও নেই। ছাদ এবং আকাশের আশনাই শুনে অন্ধকার বাসিন্দারা কখনো মাথা ঘামায়নি। কিংবা মাথা ঘামালেও সংগতিহীন পিতার মতো ‘ও জিনিস মোটে ভাল নয়’ বলে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে।তবে সেই বাড়িতেও সুদূর

Read More
X