সকালে ঘুম থেকে উঠে, খোলা জানালার বাইরে চোখ পড়তেই দেখে শাদা মশারির মতো কুয়াশাঘেরা চারপাশ, যদিও গ্রীষ্মে এমনটা দেখা যায় না প্রায়, কৌতূহলে দরজা খুলে উঠোনে এসে দাঁড়ায় ইখতিয়ার। কোনও দিকে বেশি দূর দেখা যায় না, মনের মধ্যে শিরশির করে ওঠে, কয়েক মুহূর্ত থমকে দাঁড়িয়ে থেকে ঘরে ফিরে যেতে যেতে স্মৃতি হাতড়ায়, এমন কখনও কী

আমি এখন আমার, একান্তই আমার। আজ থেকে শুরু আমার একান্ত অভিসার। পড়তে ৬ মিনিট লাগবে আকাশে আধখাওয়া চাঁদ। মিহি জোছনার রূপালি হাসি ফিকে হয়ে এসেছে অনেকটাই। রাতভর একা অপেক্ষায় থাকার ক্লান্তি নিয়ে ম্লানমুখে ফিরে যাওয়ার আয়োজনে রাত্রি গুটিয়ে নিচ্ছে অন্ধকারের পাতলা চাদর। দূরে, একটা হুতোম প্যাঁচা কেঁদে উঠল হুট করে, একটা কানাকূয়ো কুব কুব ডেকেই

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম দেখা করব। কিন্তু দেখা করে কী কথা বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। শেষপর্যন্ত ফোনটা করেই ফেললাম। তিনিও আড়ষ্ট ছিলেন। আমার সঙ্গে দেখা করবেন কী না বুঝতে পারছিলেন না। অবশেষে রাজি হয়ে গেলেন।গ্রিল দিয়ে ঘেরা বারান্দা। সেখানে কয়েকটা টব। সবই পাতাবাহারের। গাছগুলিকে দেখলেই বোঝা যায় নিয়মিত পরিচর্যা চলে। সুন্দর করে ডালগুলো ছাঁটা। একটাও শুকনো

ভোরের আলো ভালোমতো না ফুটতে নিশিমন ঘরে তার সদ্য মৃত স্বামীর লাশ রেখে নবাবি নৌকা ভাসিয়েছে পাথারের জলে। সেই কবে ছোট্ট বেলায় নৌকা চালিয়েছিল শখ করে, তারপর আর কখনো হাল ধরা হয়নি। আজ এই আলো আঁধারে চোখে নোনতা জলের দাগ থাকতে থাকতে অপটু হাতে আবার নৌকার হাল ধরেছে। আকাশে আবছা গাঢ় নীলের আভাস থাকলেও পাথারের

মিশিগানের গ্র্যান্ড রাপিডসে তখন মধ্যরাত। স্ট্রিট লাইটের চুইয়ে পড়া আলোগুলো ঠান্ডায় তিরতির করে কাঁপছে। কারখানাগুলোর ভেতরে তখন উজ্জ্বল আলোর নিচে ঘড়ঘড় শব্দ করে ঘুরছে কনভেয়ার বেল্ট। তার কোনটা চিপস, কোনটা সিরিয়াল কিংবা সিরিয়াল বার বয়ে নিয়ে আসছে। বেল্টের পাশে দাঁড়ানো সারিবদ্ধ শ্রমিকের দল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হাত চালাচ্ছে। চেরিওস সিরিয়ালের ব্যাগ সাজাতে সাজাতে ক্যারোলিনার