সূচিপত্র | লিংক থেকে লেখাগুলি পড়ুন | গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা সূচিপত্র ও লিংক | লিংকগুলি ক্লিক করে লেখাগুলি পড়ুন
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা সূচিপত্র ও লিংক | লিংকগুলি ক্লিক করে লেখাগুলি পড়ুন
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা “পানি লাগবে, পানি?” মুগ্ধ চিৎকার করে ডেকে ডেকে সবাইকে পানি খাওয়াচ্ছিল। সাদিক ও মুগ্ধ মিছিলে হাঁটছিল পাশাপাশি। হঠাৎ পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে এলো। এদিক-সেদিক দৌড়াচ্ছে সবাই। সাদিক দৌড়ে কিছুদূর যেতেই মুগ্ধকে না পেয়ে পেছন ফিরে তাকাল। একটু খোঁজাখুঁজির পর সাদিক দেখতে পেল মুগ্ধ পথে পড়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে সে। হঠাৎ শ্লোগান
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা মিশরীয় বিপ্লব ২০১১মূল : এলিজাবেথ প্যাডিলো ওলসেন তিরিশ বছরের নীরবতা ও পীড়নের পর,এখানে তারা রাজপথে মিছিল বের করেছেদিচ্ছে স্লোগানঅসন্তোষ আর বঞ্চনার কথাগুলোউচ্চকিত কণ্ঠে জানান দিচ্ছে এইখানে রাজপথেপক্ষ-বিপক্ষের সবাই এসে মিলেছেচলছে একে অপরের স্বার্থের লড়াই।এই যে লড়াইএকে এখন গুরুত্ব দিতেই হবে। পাথরের স্তূপপাথরের পর পাথরএকে অপরের দিকে ছুঁড়ছেআকাশে মুষ্টিবদ্ধ হাতগুলিতাদের চাবুক আর মেশিনাগানেরবুলেটের চাইতে
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা অনেক্ষণ ধরেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছিল বারান্দা থেকে। ধোঁয়ার উৎস কোথায়, দূরে এই আবাসিক এলাকা থেকে ঠিক বুঝা যাচ্ছিল না। তবে বহুমানুষের চিৎকার এবং দ্রিমদ্রিম শব্দ বাতাসে ভেসে আসছিল। নেটফ্লিক্সে ওয়ারমুভির ভক্ত তিনি। অবচেতনে তেমনই একটি মুভির দৃশ্যের কথা কল্পনা করছিলেন। কিন্তু বাইরে, মেইনরোডের ওপর কী ঘটছে সেটি কল্পনা করে উদ্বিগ্নবোধ করেন তিনি।
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা জলন্ত চোখের ভেতর আমি এখন বিশাল আকাশের সাথে ঘাসের কাছে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক আকাশ দেখি…অনেক আকাশ দেখাই আমার একমাত্র কাজ।আকাশের অনেক চোখ কেঁপে কেঁপে চেয়ে থাকে।সে জলন্ত চোখের ভেতর আমি তোমাদের দেখছি।তুমি। তোমরা। প্রত্যেকেই। তোমাদের ইতিহাস কেবল জ্বলজ্বল করছে,জলন্ত চোখের ভেতর পুড়ছে না.. স্পর্ধাটুকু নেই কোনো আঙুল নেইতবু পিয়ানোর রিডের মতো বেজে যাচ্ছে
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা মিশর তিউনিসিয়া নয় এবং তিউনিসিয়াও মিশর নয়। তিউনিসিয়ার গণজাগরণের পর প্রায় সবাই এমন কথাই বলেছিল। কেউ ভাবতে পারেনি যে, আরব বসন্তের জোয়ার মিশরেও আসবে। পঁচিশে জানুয়ারির কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার বন্ধুরা যখন বিপ্লবের ঘোষণা শুনেছিলাম, তখন আমাদের প্রতিক্রিয়া ছিল হাস্যকৌতুকপূর্ণ। তার কারণ এই নয় যে, আমরা শাসনব্যবস্থাকে পছন্দ করতাম, বরং আমরা চিন্তা
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা খুন সকলেই চুপচাপক্ষমতার পায়ে নতজানুলুটেরা-দালাল কবি-লেখক-সাংবাদিক-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-ব্যবসায়ী সবাই চুপচাপ; যেন কিছুই ঘটেনি—অথচ পাতারা দুলছেবাতাস বইছে, অক্সিজেন নিচ্ছে পশুপাখিগনগনে রক্তের উত্তাপে জ্বলছে আকাশ; তাজা রক্ত আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছেদালালেরা টের পাচ্ছে না উত্তাপখুন হয়ে যাওয়া শহীদদের লাশঅভিশাপ দিচ্ছে, টের পাচ্ছে না সময়! শোকগ্রস্ত সময়, হাওয়া ছড়িয়ে দিচ্ছেগাঢ় বেদনা, সবদিকে বেপরোয়া আগুনকাঁদছে পাখিরা, লতাগুল্মও ম্লানমুখে কাতরপাতারা নুয়ে
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা মঙ্গলবার ১৬ জুলাই। কোটাবিরোধী আন্দোলন হঠাৎ করে স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলে রূপ নিল। একটি যৌক্তিক, অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রূপ নিল সংঘাতপূর্ণ, রক্তাক্ত আন্দোলনে, পেল রাজনৈতিক চেহারা। এর আগের রাতে আগুনে ঘি ঢেলেছিল কিছু নেতার দায়িত্বহীন ও উসকানিমূলক মন্তব্য এবং আন্দোলনকে পেশিশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রণের ভুল পদক্ষেপ। অতীতে সুবিধাভোগী এই পেটোয়াবাহিনী এবার আর সফল হলো
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা ২৯ জুলাইয়ের কবিতা হা জয়যুক্ত হয়েছে হা জয়যুক্ত হয়েছেহারুনআমাকে তুলে নিয়ে যাওগরম ভাতের সাথে মুরগির রানকতদিন খাইনা আমার পরানআমাকে চ্যাংদোলা করে তুলে নেওহারুনআমাকে ভাত দেও হারুনআমাকে কালো গাড়িতে চড়িয়ে তুলে নেওহারুনযেন ঘরে তুলছো বউসেরকম কোলে করে নিয়েআমার মুখে ভাত তুলে দেও হারুনআমার অন্য মুখে ডিম তুলে দেও হারুনহারুন আমার বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষুধাআমাকে ভাত
গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা মনের মনে থাকবে লাশের রক্ত থেমে গেছে।থেমে তো যাবারই কথাকতক্ষণ রক্তস্রোতের নহর বয় একজন প্রাণের?পরস্পর বিচ্ছিন্নভাবে সাজিয়ে রাখা মিছিলের মুখগুলি,দেখে গুমরে উঠেছে আমাদের বাতাস। ভাষাশহীদ শামসুজ্জোহাকে ডাকতে ডাকতে চলে যাওয়া সাঈদ,তার শরীরে কীসের তকমা লাগাও?এই তোমাকেই রাস্তার কুকুরের অসুখে কাঁদতে দেখেছি?চোখের সামনে যেই একদিন মুরগি জবাই দেখলে,প্রিয় মুরগি আর কোনদিন মুখেই নিলে না?তুমিই