মোহছেনা ঝর্ণা | গল্প যখন কথা বলে | গদ্য
পৃথিবীর সব গল্পই নাকি লেখা হয়ে গেছে, তবু প্রতিদিন এত নতুন নতুন গল্প আসে কোথ থেকে? সেসব গল্প পড়ে পাঠক কখনো বিস্মিত হয়,
পৃথিবীর সব গল্পই নাকি লেখা হয়ে গেছে, তবু প্রতিদিন এত নতুন নতুন গল্প আসে কোথ থেকে? সেসব গল্প পড়ে পাঠক কখনো বিস্মিত হয়,
কোনো এক কালে গোপাল ভাঁড় বলেছিলেন, বলতে হবে সত্যি কথা, যতই হোক হৃদয়ে ব্যথা। কিংবা তিনি একথা বলেছিলেন কিনা জানি না। তাঁকে নিয়ে
লোকটি রুমে ঢুকেই স্মিত হাসি দিয়ে ‘কেমন আছেন?’ জিজ্ঞেস করাতে আমি অবাক হলাম। তাকে আমি চিনি না। বিস্ময়ের ব্যাপার আরো যে, উত্তর না
নিরঞ্জনের চোখের সামনে দাঁড়াতে পারে না কেউ। তার এক চোখের দৃষ্টিসীমায় দাঁড়ালেই ফালা ফালা হয়ে যায় দেহ, মনে হয় মাংসপেশী বিদীর্ণ করে ঐ
এরশাদউল্লা নয়াহাটে রটাইয়া দিছে যে বেশটমেটোরে সে বটফল খাইতে দেখছে মাজারখোলার টিলায়, যখন দুপুরবেলা দোকান বন্ধ ক’রে সে বাড়ি ফেরার পথে পেচ্ছাবের তাড়নায়
ইন্দুদের ছাদ বাগানে তখন সুফলা পৃথিবী অভিজাত হাওয়া দিচ্ছিলো। এমন হাওয়া যেন অনায়াসে বসন্ত ডেকে আনে। কিন্তু সে সন্ধ্যাবেলা ছড়াচ্ছিলো বিষণ্ণতা। ইন্দু বলছিলো,
চলুন, অলৌকিক এক রাতের গল্প শুনে আসি। আমাদের গ্রামের, মানে কাঁসারি পাড়ার গ্রামীণ থুত্থুরে বুড়ি মহিলারা এখন আর নাই, যারা আছে তাদের বেশিরভাগই
নিজের গলায় তিনটা ভাঁজ চোখে পড়ে খোকার। চিকন, লম্বা কেবিনেটের গায়ে-সাঁটা আয়নার সামনে, ফ্লোরে বসতেই, শিথিল হয়ে-পড়া ত্বকের এই অবস্থা সে দেখতে পায়।
শুকতারা বলে, রেজা এসেছে খানিক আগে।সামনের রুমের বিছানায় বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। রুমের পাশেই ব্যালকনি। তাতে টবে নানারকম ফুলগাছ, চায়না রোজ, পুর্তলিকা,
আচমকা ঘুম থেকে উঠে রেদোয়ান ঝিম মেরে বসে থাকে বাসি বিছানায়, বহদ্দারহাট থেকে কেনা সস্তা খাটে। অন্যদিন হলে ঘুম ভাঙামাত্রই রেদোয়ান ওরফে আমাদের