তীরন্দাজ Blog কবিতা ৫টি কবিতা | অনুভব আহমেদ | ৫টি কবিতা | উৎসব সংখ্যা ২০২৪
কবিতা বিশেষ সংখ্যা

৫টি কবিতা | অনুভব আহমেদ | ৫টি কবিতা | উৎসব সংখ্যা ২০২৪

কিছু হাওয়া লীন,গীতল ধানে খেলে
সমিচীন পথ ধরে বক্ষ চিড়ে গেলে চলে
কেনো এমন দো’টানা দিনে
বিষাদ ঝরে –
গাইয়ের ওলান চুঁয়ে?

রাখালের বাঁশি কবেই গেছে মুছে
বনের ভেতর মন নিঃসঙ্গ দিন গুনে
নাম ভুল করে হাত ধরা ডিজিটালে
টলোমলো জল,আধোনীল ফোন
ডুবে গেছে সব নাগরিক ফেসবুকে!

আমি হাতড়াই কিছু আলুথালু মেঘ
থকথকে নদী, বিভেদের রেশ
সব আছে তাই, কিছুই না পাই

ঝমঝমে বৃষ্টির প্রেমে নাম জপে
যা হারাই,কী করে ফেরাই?
সারল্য মুছে –
জীবন যে গেছে সাপিনীর মতো বেঁকে!

ধুঁয়োনা চোখ,কিছু দৃশ্য লেগে থাক
আমাকে জেরবার করুক কিছু হিংস্রতা

আমি লেলিহান পুড়ে –
তুমি ফিরবেনা জেনে গুছিয়ে রাখি ঘরদোর
বালুঝড় এসে সব গুড়িয়ে দিয়ে যায়
তকমায় এটে রাখি বিচ্ছেদ
কপাল তোমাকে নিয়ে গেছে বহুদূর
আমি খাবি খাই এই যতিচিহ্নএর ভেতর।



ক্ষুধার পরিসরে ক্রমান্বয়ে ফুটপাত বদল করে মানুষের ভেতর মৃতবৎসা জীবন। কবর এক লৌকিক সমাপ্তি, যারও আগে নিভে যায় প্রাণ।


প্রত্যেক ভ্রমণ শেষে দাঁড়িয়ে থাকা একই দিকে। ঘুঙুরের শরীর জানে কতো আঘাতে তার ঝংকার। বাইজির নিভৃতে মানুষের ব্যথার কী আশ্চর্য নিনাদ।


মেঘলা তরুণীর দিন ঝরে গেলো বৃষ্টির শরীরে। করোটির কালো শ্যাওলায় ছোট্ট বাড়ি। সূর্য ডুবে যায়।


চিনতে এতোটুকু ভুল হয়না।বরফক্ষেতে শুয়ে থাকা নিজস্ব দেহলিপি।আয়না আলাপে নিশ্চুপ, তোমারই তো মুখের কঙ্কাল।

মৃত্যুকে অতো উঁচু স্বরে হেসোনা বরং আঁচ কমিয়ে নিজেকে ধীর করে রাখো আরও কিছুক্ষণ

তুমি হেসোনা, তুমি হাসলে
আমার সারারাত ঘুম আসেনা

তোমার কন্ঠস্বরে ডুবিয়ে দিয়ে শরীর
মাতাল পোস্টাপিস দাঁড়িয়ে থাকে পোর্ডিয়ামে

বহুদিন পর ফিরতে কেমন লাগে জানা নেই আর-
স্বপ্নের আলজেব্রা থেকে ঘোড়াগুলো বেরিয়ে সালসার সাথে ট্যাঙ্গো মিশিয়ে নাচতে থাকে
তাদের নাচের মুদ্রায় সঙ্গমের শিহরণ
মাথাকে দুভাগ করে কাটতে থাকে

তারা তারোকোভস্কির সিনেমা হয়ে বিব্রত বিরক্ত করতে থাকে মাথা
দূরে নিয়ে যেতে যেতে ফিরিয়ে দেয় আচমকা

তুমি হেসোনা অতো মৃত্যুকে, তোমাকে ভালোবাসেনা সে
তোমার হাসির শব্দে থার্মোমিটার পারদে নামে জ্বর।

ঘন দুপুরে ডাল তুলে নেয়া পাতের মত
কাগজে কলম হাবুডুবু খায় শব্দের স্রোতে
যা চেয়েছিলাম-
তার সীমাহীন প্রান্তে এসে ছড়িয়ে যাই

চোখ ঝাপিয়ে পড়ে দৃশ্যের ভেতর
আহা উন্মাদ!
দেখার ভেতর না দেখাটুকু খুড়ে
বিস্তৃত জলাধারের ঠোঁটের উপর উত্থাপিত হয়ে
ছড়িয়ে যায় আরও দূর সীমানায়

প্রেম তার প্রিয় লাইন পুনারাবৃত্তি করতে ভালোবাসে
ধ্বংসাবশেষের উপর নিজেকে ঘষে
ইন্সট্রুমেন্টাল হয়ে বাজি দিনভর
এ্যকুস্টিক ঘিরে মানুষের মুখের হাহাকার

আমার প্রাচীন একাকিত্বে
কোনো এক ভাঙা গ্রহের ধুলিকণার মত
আমি আছি আমারই অক্ষে
যাচ্ছি চলে গভীরে

কোনো বৃষ্টি ঝরা পাতার কাছে ভাবছি তোমায় রেখে যাবো
ভাবছি তোমায় কোথায় পাবো?
বৃষ্টির কাছেই রেখে যাব!

Exit mobile version