সোনাপাড়া এগ্রো ফার্ম
কৃষি খামারের দিকে যে কোন দুপুর
ক্লান্ত হয়ে
পাওয়ার টিলারের পাশে শুয়ে থাকে
তুমুল চাষের পর; সদ্য স্টার্ট বন্ধ্ যে পাওয়ার টিলার-
তাঁর এঞ্জিন থেকে তখনো উত্তাপ ওঠে
লাঙল টানা গরুর শরীরের
পেঁচা
লাল ট্রাক্টর লাঙল চালিয়ে মাঠ চৌচির করে দিচ্ছে
দেখে- ঘেমে উঠলো লাজুক বউটি
একটি ষাঁড় দড়ি ছিঁড়ে ফাঁকা মাঠে দৌড়ে যাচ্ছে
কালো রেখায় টানানো দূরের গ্রাম
ষাঁড়টির দৌড় কোথায় গিয়ে থামে তা কেবল বউটি-ই জানে
লাল ট্রাক্টর সেও লাঙল চালিয়ে সন্ধ্যায় দূর গ্রাম পর্যন্ত যাবে
সমস্ত দিন হুতুমপেঁচার মতো মগডালে ঘন পাতার আড়ালে বসে
দেখছি এসব
মা হারাদের জন্য গান
দুই শেয়াল শাবক; হ্রদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে
মা তাদের ফেলে
প্রান্তর পেরিয়ে নাগর শেয়ালের পিছে চলে গেছে
চাঁদ উঠছে; রোগা-ক্লিশে বুড়ির মতো
সারারাত
কীভাবে সে আকাশের প্রান্তর পেরুবে
এই মাঠ- মাঠের নাম লালন ফকির; গান গাইছে
রাতের হাওয়ারা