সৌহার্দ্য আর প্রীতির নিদর্শন হিসেবে প্রকাশিত হলো তীরন্দাজ শারদীয় সংখ্যা ১৪৩০। সাধারণ কোনো উৎসব সংখ্যা নয়, আমাদের লক্ষ্য ছিল গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে আলাদা কিছু করার। সেই ভাবনা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই সীমান্তের ওপারে বাংলা ভাষায় যেসব তরুণ এই মুহূর্তে কবিতা ও ছোটগল্প লিখে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন, তাদের কয়েকজনের কবিতা ও ছোটগল্প প্রকাশ করব। সংখ্যাটিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থজিৎ চন্দ। বিনায়ক দিয়েছেন একগুচ্ছ কবিতা আর পার্থ একটি ছোটগল্প। সব্যসাচী মজুমদারের একটা ভিন্নধর্মী গদ্যও প্রকাশিত হলো।
সংখ্যাটি প্রকাশে তীরন্দাজকে সহায়তা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের দুই তরুণ লেখক – কথাসাহিত্যিক অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কবি রাজীব মৌলিক। অঙ্কিতা ইতিমধ্যে লেখক হিসেবে পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছেন। তিনি কাজ করছেন তীরন্দাজের কলকাতা প্রতিনিধি হিসেবে। অশেষ কৃতজ্ঞতা অনুজপ্রতিম বন্ধু বিনায়কের প্রতিও।
এখানেই শেষ নয়, তীরন্দাজ সময়ের সাহিত্যকে সবসময় উপস্থিত করার দিক থেকে এগিয়ে থাকে। সেই চিন্তা থেকে আমরা প্রকাশ করেছি দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুচ্ছ – একটি সদ্যপ্রয়াত নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত লুইজ গ্লিকের কবিতার অনুবাদ আর ফিলিস্তিনি সংকটের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত একজন নাট্যকার ও কবির কবিতা।
পুরা সংখ্যাটি নিঃসন্দেহে একটি সমৃদ্ধ সংখ্যা। পড়ুন সংখ্যাটি আর আপনার ছুটির দিনগুলোকে বহুবর্ণিল করে তুলুন। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। –
মাসুদুজ্জামান, প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক, তীরন্দাজ।
Leave feedback about this