অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম দেখা করব। কিন্তু দেখা করে কী কথা বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। শেষপর্যন্ত ফোনটা করেই ফেললাম। তিনিও আড়ষ্ট ছিলেন। আমার সঙ্গে দেখা করবেন কী না বুঝতে পারছিলেন না। অবশেষে রাজি হয়ে গেলেন।
গ্রিল দিয়ে ঘেরা বারান্দা। সেখানে কয়েকটা টব। সবই পাতাবাহারের। গাছগুলিকে দেখলেই বোঝা যায় নিয়মিত পরিচর্যা চলে। সুন্দর করে ডালগুলো ছাঁটা। একটাও শুকনো পাতা নেই। প্রতিটা টবের মাটি কোপানো। বয়েস পঞ্চান্নর কাছাকাছি। শাড়ি পরে আছেন। চোখে চশমা। মুখে তেমন চিন্তার ছাপ নেই। তবে প্রতিটা বলিরেখা শোকের চিহ্ন বহন করছে।
– বললাম, আপনার বুঝি বাগানের সখ?
– বাগান আর কোথায়? সাজিদের মা মুখে জোর করে হাসি এনে বললেন, আগে আমরা যেখানে থাকতাম সেখানে ঘরের সামনে একফালি জমি ছিল। ওখানে অনেকগুলো গাছ পুঁতেছিলাম।
– আগে কোথায় থাকতেন?
– বাউরিয়ায়।
– নিজেদের বাড়ি?
– তা বলতে পার। তবে যৌথ সংসার। আমাদের বরাদ্দে ঐ একটাই ঘর ছিল। ঐ ঘরেই সাজিদের পড়াশোনা। আমাদের থাকা-খাওয়া। কতো অভাব ছিল তখন।
কথাটা শেষ করে সাজিদের মা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন। বোধহয় আসন্ন অভাব ও অনিশ্চয়তা তাঁকে পুনরায় গ্রাস করে ফেলছে। তিনি চশমাটা খুলে আঁচলে কাচটা পরিষ্কার করে নিলেন।
– এইখানে চারবছর মাত্র। তিনি জানালেন, বাউরিয়ার ঘরটা ওর চাচাদের বেঁচে দেওয়া হল। তখন সাজিদ এই কোম্পানিতে সবে যোগ দিয়েছে। ব্যাঙ্কলোন পেতে অসুবিধে হয়নি। হঠাৎ করে অনেকটা মাইনে বেড়ে গেছিল তো। এখনো ইএমআই চলছে। অনেকদিন চলবে। ও না ফিরলে কোথায় যে যাব। বাউরিয়াতেও যাবার সুযোগ নেই।
আমি বুঝতে পারছিলাম না পরবর্তী ইএমআইগুলো কীভাবে শোধ হবে। সাজিদের ব্যাপারে সকলেই অনিশ্চিত। ইএমআই দিতে না পারলে ব্যাঙ্ক তো এদের উচ্ছেদ করবে। এই ভদ্রমহিলা ঠাঁই পাবে কোথায়? বহুলোক যেমন প্রতিদিন শহরে আসছে, শহরও তেমনি কত লোককে যে বাতিল করে দিয়ে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে – তার খবর কেউ রাখে না।
সাজিদের মা উঠে দাঁড়ালেন, এই যা, এতোক্ষণ হয়ে গেল তোমাকে তো চায়ের কথাটা জিজ্ঞাসাও করা হল না। চা খাবে তো?
আমাকে অনেক্ষণ কথা বলতে হবে। অনেক কিছু জানার বাকি। ফলে চা-এ রাজি হয়ে গেলাম।
বললাম,
– মাসিমা আমি কি ভেতরে ঢুকতে পারি?
– এ মা! তোমাকে এখনো ভেতরে আসতে বলিনি! আমার যে আজকাল কী হয়! এসো, এসো। নিশ্চয় আসবে। কেন আসবে না!
দু-কামরার ফ্ল্যাট। মাঝখানের অংশটাকে ডাইনিং স্পেস আর বৈঠকখানায় ভাগ করা হয়েছে। চারটে চেয়ারঅলা খাবার টেবিল। টেবিলের মাঝখানে দুটো জলের বোতল।
একদিকের দেয়ালে শো-কেস। সেটা কাপ-পিরিচেই ভর্তি। উপরের তাকে কটি বই রয়েছে। সবকটাই ইসলাম ধর্মের উপর। বাংলায়।
আমি চেয়ার টেনে বসলাম। মাসিমা চা বানাতে রান্নাঘরে গিয়েছে। টিভি বন্ধ। রিমোটটা সোফার সামনে ছোট্ট টেবিলটায় রাখা। দেয়ালের রঙ হাল্কা সবুজ।
রান্নাঘর থেকে সসপ্যানে জল ঢালার আওয়াজ পেয়েছিলাম। সেই শব্দ শুনে বুঝি একজন বয়স্ক মানুষ সামনে এসে বসলেন। রোগাটে গড়ন। পরনে লুঙ্গি আর শার্ট। তিনিই সাজিদের বাবা। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি সাজিদের কলিগ?
– জ্বি না। আমি এই প্রশ্নটার জন্য তৈরি হয়ে এসেছিলাম। বললাম, সাজিদ আমার বন্ধু।
– অ।
কী বুঝলেন কী জানে। আর কোন কথা বললেন না। আমাকে বোধহয় সন্দেহ করছিলেন। উঠে যেতে গিয়ে মাসিমাকে বললেন, আমার জন্যও চা বানিও।
রান্নাঘর থেকে কোন জবাব এলো না।
বৃদ্ধ কুঁজো হয়ে চলেন। একসময় টাইপিস্ট ছিলেন। সম্ভবত সেই কারণেই স্পন্ডিলাইটিস বাঁধিয়েছেন। ঘাড় ঘোরে না। নিজেকে ঘুরতে হয় কিছু দেখবার জন্য।
সাজিদের মা তিন কাপ চা নিয়ে এলেন।
বললেন, তুমি খাও। আমি ওকে চা-টা দিয়ে আসছি।
সাদা পিরিচের উপর চারখানা ক্রিমক্রেকার। একটার উপর একটা রাখা। চা-এ চিনির পরিমাণ বেশি। বাবা আর মা ব্লাডসুগারের পেশেন্ট। বাড়িতে চিনি ছাড়াই চা হয়। আজকে অনেকদিন পর চা-এ চিনি দিতে গিয়ে পরিমাণ ঠিক রাখতে পারেননি।
মাসিমা চা দিয়ে ফিরে এসেছেন। একটা চেয়ার টেনে আমার সামনে বসলেন। চা-এ চুমুক দিয়ে বললেন, তোমার চা-এ কিন্তু চিনি দিয়ে ফেলেছি। জিজ্ঞেস করা হয়নি।
– অসুবিধা নেই। আমি চিনি খাই মাসিমা।
– চিনি কি বেশি হল। দেবার সময় মনে হচ্ছিল। সাজিদ চলে যাবার পর এই প্রথম চিনি দিয়ে চা করলাম।
আমি তাঁকে আশ্বস্ত করতে বেশ বড়ো একটা চুমুক দিলাম।
মাসিমা বললেন, এই ভাবেই চলছে। প্রথমদিকে আত্মীয়স্বজনরা দু’বেলা ফোন করত। আসত। এখন খুব কম ফোন করে। আসলে সকলেই তো কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত।
– আমি অনেকদিন ধরেই আসব ভাবছিলাম।
– হ্যাঁ, তুমি তো আমাকে ফোনেও জানিয়েছিলে।
– আসলে ঘটনাটা এমনভাবে ঘটল। এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা কলকাতা থেকে কেউ একজন গায়েব হয়ে যাবে কেন।
মাসিমা আমার কথাটা শুনে চুপ করে গেলেন। নিজের মনেই কীসব হিসেব কষলেন, আমরা কিন্তু মেনে নিয়েছি এখন, বুঝলে। খটকাটা শুধু একজায়গাতেই – এখনো বুঝতে পারছিনা কেন এমন ঘটল। একটাও যুৎসই কারণ পাচ্ছি না। প্রতিদিন মনে হত এই বুঝি সে ফিরে আসবে। কিন্তু… মাসিমা আঁচল দিয়ে আবার চশমার কাচটা মুছে বললেন, এখন সব থেকে বেশি ভাবায় কেন এমন ঘটল। ঘটলই যদি তা আমাদের সঙ্গেই কেন ঘটল। তোমরাও নিশ্চয় ঘুণাক্ষরে কিছু জানতে পারনি?
আমি চা-টা শেষ করে মাসিমার দিকে তাকিয়ে থাকি। মাসিমা যেন আমাকে কথাগুলি জানাচ্ছেন না। নিজেকেই নিজে বলছেন।
আবার বললেন, আসলে হয়ত এমনি হবার কথা ছিল। কোনকিছুই তো আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু ঘটে যায়। আমাদের উপরি ঘটে সবকিছু। সব কি আর আমাদের পারমিশান নিয়ে ঘটে, বলো?
– নিশ্চয়।
আমার গলা শুনে মাসিমা সজাগ হয়ে গেলেন, আবার মাঝে মাঝে উল্টো কথাও মনে আসে। হয়ত আমাদেরও কিছু দোষ রয়েছে। হাঁটাচলার দোষ। কথা বলার দোষ। কতো রকমের দোষ থাকে তো।
– কেন এমন মনে হচ্ছে আপনার?
– জানি না। কতকিছুই তো মনে হয়। তুমি সাজিদকে কতদিন ধরে চেনো?
– বছর দুই হবে।
– এক জায়গায় চাকরি করতে?
– না, মাসিমা। একসঙ্গে চাকরি করতাম না। যাতায়াতে পরিচয়। আমরা প্রতিদিন একই বাসে উঠতাম।
– প্রথম প্রথম সাজিদ তো অফিসের গাড়িতেই যেত। পরে বলতো অফিসের গাড়িতে গেলে অনেক আগে বেরোতে হয়। অনেকজনকে তুলতে তুলতে গাড়িটা যায় তো। তারপর থেকে এমনিই যেত।
মাসিমার উত্তরটা আশ্বস্ত করেছিল। বললাম, হ্যাঁ। ও বলেছিল। তারপর আমরা প্রায়দিন একই বাসে উঠতাম। সেই থেকেই জানাশোনা।
– সেজন্যই ভাবছিলাম তোমাকে আগে দেখিনি কেন? আসলে ওর সব বন্ধুই ইদের সময় আমাদের বাড়িতে আসত। তুমি এই প্রথম এলে।
– হ্যাঁ, মাসিমা। এই প্রথম।
– ঐ যে কী যেন বলে? মাসিমা ঠিক শব্দটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তারপর আচমকা যেন পেয়ে গিয়েছেন, এমনভাবে বললেন, তোমরা ছিলে সহযাত্রী।
সাজিদের ছবিটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এইটা কি বাউরিয়ায় থাকাকালীন?
মাসিমা পেছন ফিরে আবার ছবিটাকে দেখলেন। তাঁকে দেখে মনে হল স্মৃতিগুলো এখনো সজাগ। বললেন, তখন সবে শীত পড়েছে। সাজিদ ছোটোবেলায় হুপিং কাশিতে ভুগেছিল। তখন ভেবেছিলাম ছেলেটাকে বুঝি আর রাখতে পারব না। একটানা কেশেই যেত। একদিন তো টানা ৪৫ মিনিট ধরে কেশেছিল। নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না। ওকে কোলে নিয়ে সারাঘর পায়চারি করতাম। মনে হত, এই বুঝি সব শেষ হয়ে যাবে। যাহোক, সেই হুপিং কাশি তো সারল। কিন্তু ছেলেটার ঠান্ডার ধাত রয়েই গেছিল। এই যে, ছবিতে দেখছ, ও হাঁটু অব্দি লম্বা মোজা পরে রয়েছে, ফুলহাতা সোয়েটার, ছবিতে আমাকে দেখা পাচ্ছ না – আমি কিন্তু একটা মাঙ্কি ক্যাপ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এই ছবিটা ডিসেম্বরের নয়। নভেম্বরের শেষের দিকে তোলা। তখনো ঠান্ডা পড়েনি। এইভাবে ওকে মানুষ করেছি। পুজোর পর থেকেই পাখা বন্ধ থাকত। কী যে কষ্ট হত আমাদের। দমবন্ধ হয়ে আসত। ছবিটা ভালো করে দেখো – দেখলে বুঝতে পারবে সাজিদ কেমন মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ক্যামেরার দিকে তাকাতেই চাইছিল না। স্কুলে যেতে ও ভালোই বাসত। কিন্তু সেদিন জেদ ধরে বসেছিল। কিছুতেই যাবে না। কেন বলো তো?
মাসিমা প্রশ্নটা আমাকে করলেন বটে, তবে আমি জানতাম উত্তরটা তিনিই দিয়ে দেবেন। আমি শুধু উৎসুক হবার ভান করছিলাম।
মাসিমা বললেন, ঐদিনটা ছিল ইদের পরের দিন। ইদের পরের দিনে কি ইদের রেশ কাটে? সে কিছুতেই স্কুলে যাবে না। এদিকে স্কুলে হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষা। তাও অঙ্ক। অনেক বুঝিয়ে ইউনিফর্ম পরানো গেছিল।
মাসিমা কথাগুলো বলতে বলতে হাসছিলেন। বুঝতে পারছিলাম তিনি আবার সবকিছু নতুন করে দেখতে পাচ্ছেন। সেই বাউরিয়া, সেই ঘর, ঘরের ফেটে যাওয়া লাল মেঝে কিংবা বাগান আর আধখোলা জানালা…
মাসিমা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, হাতে মাঙ্কি টুপি, সাজিদের বাবা ক্যামেরার বোতাম টিপছেন – এই দৃশ্য আমিও দেখা পাচ্ছিলাম।
মাসিমাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এখন কী ভাবছেন?
– কী ভাববো?
¬– এই ফ্লাটের ইএমআই… সংসার…
মাসিমা চুপ করে গেলেন। এসবের কোনো উত্তর হয় না। তবু ডুবন্ত মানুষ অতলকে স্পর্শ করার পরেও বেঁচে থাকবার স্বাভাবিক নিয়মে তলের সন্ধান চালিয়ে যেতে থাকে। তার শেষ নিঃশ্বাস অব্দি সে খড়কুটো খোঁজে।
মাসিমা দ্বিধাগ্রস্ত। জানালেন, ওর চাচারা এসেছিলেন। বললেন ওরা ভাড়াটিয়া খুঁজে দিতে পারবেন। ভালো ভাড়া পেলে আমরা অন্য জায়গায় চলে যাব। ভাড়ার টাকায় যদি ইএমআই শোধ করা যায় তো ভালোই। না হলে বিক্রি করে ব্যাঙ্কের ধার মেটাবার পর দেখা যাক কী হয়। এখন এদিককার ফ্লাটের দাম উঠছে। ওরা বলছিলেন, টাকা শোধ দেবার পরও হাতে কিছু থাকতে পারে।
– আপনি যদি বলেন আমিও চেষ্টা করব।
– নিশ্চয়। মাসিমা হাসলেন, আর মাঝে মাঝে এসো। কথা বলতে পারলে আমারও ভালো লাগবে।
আমি ইতস্তত করছিলাম, পুলিশ কিছু জানালো?
মাসিমা দু-দিকে মাথা নাড়লেন।
এরপর সংলাপ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল। বললাম, আজ তাহলে উঠি। কাকুর সঙ্গে একবার দেখা করব।
সাজিদের বাবা বালিশে হেলান দিয়ে বই পড়ছিলেন।
ছোট্ট ঘর। একটা টেবিল। তাতে ওষুধপত্তর রাখা। একপাশে আলমারি। আলমারিতে আয়না লাগানো।
বললাম, কাকু আসছি।
কাকু হাতের ইশারায় তার পাশে বসতে বললেন, মু’যেযায়ে আম্বিয়া পড়ছি। পড়েছ?
এই বইটি খুবই প্রচলিত। বাঙালি মুসলমানদের বাড়িতে এই বই রাখবার রেওয়াজ রয়েছে। মূলত ইসলাম সম্পর্কিত বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা রয়েছে এখানে। বললাম, অনেক আগে পড়েছি।
কাকু উঠে বসলেন, আজকাল এই বইগুলো পড়ি। ভালোলাগে। এই জায়গাটা শোনো – হযরত আসমা বিনতে উনাইশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (ছঃ) ছাহরা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। এই সময় তাঁর উপর ওহী নাজিল হয়। তিনি হযরত আলি (রাঃ) এর জানুতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এদিকে বেলা গড়াচ্ছে। কিন্তু হযরত আলীর (রাঃ) আছরের নামাজ পড়া হয়নি; রাসূলুল্লাহ (ছঃ) এই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকায় তিনি নড়া-চড়া করছেন না। পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তে নবী করিম (ছঃ) নিজেই ঘুম থেকে জেগে আলীকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি আছরের নামাজ পড়েছ? তিনি বললেন, না। এখনো আমার নামাজ পড়া হয়নি। হযরত আলীর (রাঃ) বক্তব্য শুনে আল্লাহর রাসূল (ছঃ) রব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থণা করলেন, হে আল্লাহ! সূর্যকে পুনরায় উত্তোলন করে দাও।
আসমা (রাঃ) বলেন, আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম, সূর্য ডুবে যাবার পর পুনরায় ভেসে উঠল। ঐসময় সূর্যের কিরণ পাহাড় ও প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ল।
পড়া শেষ করে কাকু আমার দিকে তাকালেন, আগে কতো অলৌকিক ঘটনা ঘটে যেত। কিন্তু এখন আর ঘটে না। কিন্তু যদি ঘটত?
আমি লজ্জায় মাথা নীচু করে বসে থাকলাম।
ইচ্ছা ছিল সাজিদের বেডরুমে একবার ঢুঁ মারব। কিন্তু সেটা প্রকাশ করা গেল না।
যাবার সময় মাসিমাকে বললাম, আপনার গাছগুলো সুব সুন্দর। দেখলেই বোঝা যায় আপনি ওদের খুব যত্ন নেন।
আমি বেরিয়ে যাবার পরেও মাসিমা বেশ কিছুক্ষণ দরজা খুলে রেখে ছিলেন। তারপর বন্ধ করে দিলেন।
(চলবে)
Leave feedback about this