গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা
২৯ জুলাইয়ের কবিতা
হা জয়যুক্ত হয়েছে হা জয়যুক্ত হয়েছে
হারুন
আমাকে তুলে নিয়ে যাও
গরম ভাতের সাথে মুরগির রান
কতদিন খাইনা আমার পরান
আমাকে চ্যাংদোলা করে তুলে নেও
হারুন
আমাকে ভাত দেও হারুন
আমাকে কালো গাড়িতে চড়িয়ে তুলে নেও
হারুন
যেন ঘরে তুলছো বউ
সেরকম কোলে করে নিয়ে
আমার মুখে ভাত তুলে দেও হারুন
আমার অন্য মুখে ডিম তুলে দেও হারুন
হারুন আমার বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষুধা
আমাকে ভাত দাও হারুন
আমার মুখে তোমার ভাত ঢুকিয়ে দেও হারুন।
যেন আমি শধু খাই
আর কথা বলতে না পারি
আর গাইতে না পারি
আমার মুখে তোমার ডিম ভরে দেও
হারুন
আমাকে তুলে নিয়ে যাও হারুন
আমাকে তুলে নিয়ে যাও হারুন
আমাকে খুলে নিয়ে যাও হারুন
আমাকে গুলে জুস করে নিয়ে যাও হারুন।
হারুন আমি চাই
আমাকে তুলে নিয়ে যাক হারুন
হারুনের ভেতর হারুন
তার ভেতরে আবার হারুন
আমাদের আর কোন কথা হবে না হারুন
আমরা শুধু ভাত খাব হারুন
ভাত খেতে খেতে
আমরা ভুলে যাব হারুন
এই ভাত ধান থেকে আসে
এই ধান সাঈদের বাপ ফলায়
আমরা ভাবব ভাতের বাচ্চা হয়
আর
বাচ্চা হয় বন্দুকের।
আমরা ভাত খেতে খেতে কথা বলব হারুন
হারুন তুমি বলবা ভাতার লাগবে
আমি বলব তুমিই আমার ভাতার
হারুন আমি একটা পাখি হয়ে আসব
তোমার ময়না পাখি ।
হারুন
প্লিজ
আমাকে তুলে নিয়ে যাও হারুন।
আমাদের আছে হা হা
তবু হাসি না
ভালো কাদের বাসি?
যাদের বাসি না
তারাও ফেলে
চোখের পলক
তবু কারো কারো চোখ ফুটো হয়ে গেছে
কারো কারো পা
থেমে গেছে
আমাদের আছে আরাফাতের ময়দান
আর হা হা
তবু হাসি না
আমরা ঘৃণা আর থুতুর নদীতে
ভাসিয়ে দিয়েছি হা হা
আর হাসি না
কিছুটা কাঁদি
ভারী
চোখ থেকে ফেলে দেই পলক
ডাস্টবিনের ময়লায় কাদের ফেলে রেখেছি আমরা!
ওরা কি ময়লা খায়
পচা কুমড়ো আর শশা
আর মাছের কাটা
আর আমের বীচি
কিন্তু ওরাও আমাদের আবর্জনা
সকলেও ওদের ফেলে দিয়েছে
নিজ নিজ গৃহ থেকে
নিজ নিজ হৃৎপিণ্ড থেকে।
তবু ময়লা রয়ে গেছে ময়লা খেয়ে।
মাবুদ আমরা ময়লায় আটকে গেছি
আমাদের বাঁচাও।
Leave feedback about this