তীরন্দাজ Blog কথাসাহিত্য ছোটগল্প যুদ্ধ | লুইজি পিরানদেল্লো | মোবাশ্বেরা খানম বুশরা অনূদিত | ছোটগল্প | উৎসব সংখ্যা ২০২৪
ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যা

যুদ্ধ | লুইজি পিরানদেল্লো | মোবাশ্বেরা খানম বুশরা অনূদিত | ছোটগল্প | উৎসব সংখ্যা ২০২৪

যে সব যাত্রী রাতের এক্সপ্রেস ট্রেনে রোম ছেড়েছিল তাদেরকে ফ্যাব্রিয়ানোর ছোট্ট স্টেশনটায় সকাল অব্দি অপেক্ষা করতে হয়েছে। সালমোনার সাথে মূল রেললাইনটির যোগাযোগ রাখে যে পুরোনো ধাঁচের লোকাল ট্রেনটি, তাতে চেপে যাত্রা চালিয়ে যেতে এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

ভোরবেলা একটা ভীড়ে ঠাসা, ধোঁয়া ভরা দ্বিতীয় শ্রেণির কামরায়, যেটায় পাঁচজন লোক এর মধ্যেই সারাটা রাত কাটিয়ে দিয়েছে, একজন মোটাসোটা মহিলা উঠে এল। গভীর শোকগ্রস্ত এক মহিলা – যাকে দেখতে একটি আকারহীন পোটলার মতো। তার পেছনে হাওয়া করতে করতে, গোঙাতে গোঙাতে এল তার স্বামী – ছোটখাট, রোগা দুবলা এক লোক, মরা মানুষের মতো সাদা চামড়া, চোখদুটো ছোট ছোট কিন্তু উজ্জ্বল, তবে লাজুক এবং অস্বস্তিতে ভরা।

শেষ পর্যন্ত একটা বসার জায়গা পেয়ে সে বিনয়ের সাথে যেসব যাত্রীরা তার স্ত্রীকে সাহায্য করেছে, তাকে জায়গা দিয়েছে, সবাইকে ধন্যবাদ দিল। তারপর মহিলার দিকে ফিরে তার কোটের কলারটা টেনে ঠিক করে দিতে দিতে কোমল স্বরে জিজ্ঞেস করল, ‘ঠিক আছ তো সোনা?’

স্ত্রীটি, উত্তর না দিয়ে আবারো মুখ ঢাকার জন্যে চোখের ওপর কলারটা টেনে নিল।
‘নোংরা একটা দুনিয়া,’ একটু করুণ হাসি দিয়ে বিড়বিড় করল স্বামীটি।

তার মনে হেলো যাত্রাসঙ্গীদেরকে ব্যাখ্যা করে বলা দরকার যে বেচারি মহিলাটিকে তাদের করুণা করা উচিৎ। কারণ যুদ্ধ ওর কাছ থেকে ওর একমাত্র ছেলেকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। সে এক কুড়ি বছরের তরুণ ছেলে, যার জন্যে ওরা দুজনেই ওদের পুরো জীবনটা নিবেদন করে দিয়েছিল। এমন কি সালমোনা থেকে আবাস তুলে নিয়ে তার সাথে সাথে রোম পর্যন্ত এসেছিল। সেখানে ছেলে ছাত্র হিসেবে পড়তে গিয়েছিল। তারপর স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তাকে যুদ্ধে যেতে রাজি হয়েছিল এই আশ্বাস পেয়ে যে, অন্তত ছ’মাস ওকে যুদ্ধের মাঠে পাঠানো হবে না। আর এখন দেখ, হঠাৎ করে একটা তার পেয়েছে যে, ওকে তিনদিনের মধ্যে চলে যেতে হবে। বাবা মাকে দেখা করতে বলা হয়েছে বিদায় দেয়ার জন্য।

বড় কোটের নীচে মহিলাটি মোচড় দিচ্ছে আর হ্যাচড়প্যাচড় করছে। কখনো বা বুনো জন্তুর মতো গর্জাচ্ছে। সে নিশ্চিতভাবে অনুভব করতে পারছে যে, এই সব ব্যাখ্যা, যাদের ভাগ্য হয়ত তারই মতো, তাদের ভেতরে বিন্দুমাত্র সহানুভুতিও জাগাতে পারে নি। একজন, যে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল, বলল, ‘আপনার তো ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত যে আপনার ছেলে এতদিনে যুদ্ধের মাঠে যাচ্ছে। আমার ছেলেকে তো যুদ্ধের সেই প্রথম দিনেই পাঠিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে ও দুবার জখম হয়ে ফিরে এসেছিল, আবার ওকে পাঠিয়ে দিয়েছে।’
‘আর আমার অবস্থা? আমার তো দুই ছেলে, তিন ভাগনে এখন যুদ্ধের মাঠে,’ আরেকজন যাত্রী বলল।
‘তা হতে পারে, কিন্তু আমাদের তো একটিই ছেলে,’ স্বামীটি সাহস করে বলে ফেলল।
‘তাতে কি এমন আসে যায়? আপনি হয়তো আপনার একমাত্র ছেলেটিকে বেশি বেশি আদর দিয়ে মাথা খেয়ে ফেলতে পারেন, কিন্তু আপনি আপনার ছেলেটিকে কখনোই অন্য ছেলেমেয়েদেরকে যতটা ভালবাসতেন তার চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারতেন না যদি আপনার আরো বাচ্চা থাকতও। বাবার আদর তো আর রুটির মতো নয় যে কেটে সমান ভাগ করে বাচ্চাদেরকে দেয়া যায়। একজন বাবা তার প্রতিটি সন্তানকেই তার সবটুকু আদর কোনো ফারাক না করেই দেয়, সে একটা বাচ্চাই হোক আর দশটাই হোক। এখন আমি যদি দুটো ছেলের জন্য কষ্ট পাই তাতে তো আর আধাটা করে কষ্ট পাচ্ছি না, বরং দ্বিগুণ…’
‘ঠিক কথা.. একদম ঠিক…’ বিড়ম্বিত স্বামীটি বলল, ‘কিন্তু ধরুন (অবশ্যই আমরা সবাই আশা করি এমন হবে না) একজন বাবার দুটো ছেলে যুদ্ধের মাঠে গেল আর তিনি একজনকে হারালেন, তখনো তো একজন অন্তত থাকে তাকে সান্ত্বনা দেবার জন্যে… যেখানে…’
‘হ্যাঁ,’ অন্য লোকটি বিরক্ত হয়ে রেগে বলল, ‘হ্যাঁ একটি ছেলে তাকে সান্ত্বনা দেবার জন্যে থাকল, যার জন্যে তাকে বেঁচে থাকতে হবে, যেখানে এক ছেলের বাবার বেলায় ছেলে মরে গেলে বাবাটাও মরে গিয়ে তার কষ্টের শেষ তো করতে পারে। দুটোর মধ্যে কোনটা বেশি খারাপ? দেখতে পাচ্ছেন না আপনার চেয়ে আমার অবস্থা আরো কত খারাপ হতে পারে?’
‘বোকার হদ্দ,’ আরেকজন যাত্রী মাঝখানে বলে উঠল। একটা মোটা লালমুখো লোক, যার ফ্যাকাশে ধূসর চোখ রক্তের মতো লাল। সে হাঁপাচ্ছিল। ওর ফোলা চোখে ভেতরের ক্ষোভ ফেটে পড়ছে, যার লাগামছেঁড়া প্রাণশক্তি ওর দুর্বল শরীর আর ধরে রাখতে পারছে না।
‘বুদ্ধু কোথাকার,’ ও আবার বলল, মুখটাকে হাত দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। এভাবে ও সামনের সারির দুটো পড়ে যাওয়া দাঁতের ফাঁক লুকোতে চেষ্টা করছিল। ‘আরে বোকা আমরা কি আমাদের নিজেদের লাভের জন্য বাচ্চাদেরকে জন্ম দেই?’
অন্য যাত্রীরা ব্যথাহত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো। প্রথম দিন থেকে যার ছেলে যুদ্ধের ময়দানে, সে দীর্ঘশ্বাস ফেলল, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। আমাদের বাচ্চারা তো আমাদের না। ওরা দেশের…’
‘ধ্যুত,’ মোটা যাত্রীটি খিঁচিয়ে উঠল। ‘আমরা যখন বাচ্চার জন্ম দেই তখন কি দেশের কথা ভাবি? আমাদের বাচ্চারা জন্মায় কারণ… আচ্ছা কারণ হলো ওদেরকে জন্মাতেই হবে। আর ওরা যখন জীবন পায় তখন আমাদের নিজেদের জীবনকেও ওদের সাথে নিয়ে নেয়। এটাই হলো সত্য। আমরা ওদের, কিন্তু ওরা আমাদের নয় কখনোই। আর যখন ওদের বয়স কুড়িতে পৌঁছায়, ওরা ঠিক আমরা ওদের বয়সে যা ছিলাম তা-ই হয়। আমাদেরও বাবা ছিল, মা ছিল, কিন্তু আরো অন্য অনেক কিছুও ছিল… মেয়ে লোক, সিগারেট, মোহমায়া, নতুন বন্ধন…। আর অবশ্যই ছিল দেশ, যার ডাকে হয়তো আমরাও যেতাম। আমরা যখন কুড়িতে – এমনকি যদি আমাদের বাবা-মায়েরা যদি মানাও করতেন তবুও যেতাম। এখন আমাদের এই বয়সে যদিও দেশের জন্যে ভালবাসা অনেক বেশি, নিশ্চয়ই আমাদের সন্তানের চেয়ে বেশি বড় সেই ভালবাসা। আমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে খুশি হয়ে ছেলের জায়গায় যুদ্ধের ময়দানে যেত না?’

চারদিকে নীরবতা নেমে এল, প্রত্যেকে মাথা নাড়তে লাগল যেন সায় দেয়ার জন্যে।
‘কেন’ – মোটা লোকটি বলে যেতে লাগল, ‘আমরা আমাদের ছেলেদের আবেগটাকে বুঝব না, এখন ওদের বয়স যখন কুড়ি? ওদের বয়সে কি এ্টাই স্বাভাবিক নয় যে ওরা দেশের জন্যে ভালবাসাকে (আমি অবশ্যই ভালো ছেলেদের কথা বলছি) আমাদের জন্যে ভালবাসার চেয়ে বড় করে দেখবে? এমন হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়? যেমন এতসব কিছুর পরও ওরা আমাদেরকে দেখবে বুড়োদের যে ভাবে দেখে লোকে, যারা আর নড়াচড়া করতে পারে না, বাড়ি বসে থাকে? যদি দেশ থাকে, যদি দেশ একটি স্বাভাবিক প্রয়োজনীয়তা হয়, রুটির মতই যেটা আমাদের প্রত্যেককেই খেতে হয় যদি অনাহারে মরতে না চাই, তাহলে দেশকেও কাউকে রক্ষা করতে হবে। আর তাই আমাদের ছেলেদেরকেও যুদ্ধে যেতে হবে যখন ওদের বয়স কুড়ি। ওরা কিন্তু কান্না চায় না, অশ্রজল চায় না, কারণ ওরা যদি মারা যায়, মারা যাবে উচ্ছাসের সাথে খুশি মনে (আমি অবশ্যই ভালো ছেলেদের কথা বলছি)। এখন, কেউ যদি তরুণ বয়সে খুশি মনে মারা যায়, জীবনের কুশ্রী রূপটা না দেখে, তার নীচতায় ক্লান্ত না হয়ে, কুহকের বিভ্রমে তিক্ত না হয়ে, আমরা তাহলে ওদের জন্য আর বেশি কি চাইতে পারি? সবাই কান্না থামান, প্রত্যেকের হাসা উচিত, যেমন আমি হাসছি.. .. অথবা অন্তত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিন, যেমন আমি দেই – কারণ, আমার ছেলে মারা যাবার আগে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল একথা বলে যে, ও তুষ্ট মনে মারা যাচ্ছে কারণ ও সবচেয়ে ভালভাবে জীবনের ইতি টানতে পারছে, এর চেয়ে ভাল আর ও চাইতে পারত না। সে কারণেই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি এমন কি শোকের পোশাকও পরি নি।’

লোকটা তার হালকা হলদেটে বাদামি রঙের কোটটা ঝাড়ল যেন সবাইকে দেখাতে। পড়ে যাওয়া দাঁতের ওপরের পাংশু ঠোঁটদুটো নড়ছিল। চোখদুটো স্থির, জলে ভরা, কথা শেষ করার সাথে সাথেই একটা তীক্ষ্ম হাসি দিল যেটা কান্নার মতই।

‘ঠিক তাই… ঠিক তাই…’, সবাই একমত হলো।
যে মহিলাটি তার কোটের ভেতরে পোটলা হয়ে এককোণে বসেছিল, সে চুপ করে বসে শুনছিল। গত তিনমাস ধরে সে তার স্বামী ও বন্ধু-বান্ধবদের কথার ভেতরে তার এই গভীর শোকের জন্যে কিছু সান্ত্বনা খুঁজছিল। কিছু একটা যেটা তাকে বলে দেবে কিভাবে একজন মা নিজেকে সমর্পণ করবে পরিস্থিতির কাছে, যাতে সে তার সন্তানকে কেবল মৃত্যুই নয়, হয়ত খুব বিপজ্জনক এক জীবনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কিন্তু যে যা-ই বলেছে কারো কোনো কথাতেই সে তেমন একটা শব্দ খুঁজে পায় নি, বরং তার দুঃখ আরো বেড়ে গেছে কেউই – ওর মনে হয়েছে – কেউই ওর আবেগটাকে বুঝতে পারছে না।

এখন এই যাত্রীর কথা তাকে অবাক করে দিল, অনেকটা স্তম্ভিত করে দিল। হঠাৎ সে উপলব্ধি করতে পারল অন্যরা ভুল করে নি, কেউ তাকে বুঝতে পারে নি এমন নয়। বরং সে নিজেই অন্য বাবা-মায়েদের উচ্চতায় পৌছতে পারে নি, যারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করেছে, না কেঁদে, কেবল তাদের ছেলেদের বিদায়ে নয়, তাদেরকেও মৃত্যুতে সমর্পণ করেছে।

মহিলাটি তার মাথা উঁচু করল, তার কোণটা থেকে ঝুঁকে পড়ে শোনার চেষ্টা করতে লাগল, যেখানে মোটা লোকটি তার সঙ্গীদেরকে ছেলের বীরের মতো মারা যাওয়ার ঘটনার বিশদ বর্ণনা দিচ্ছিল। কেমন করে খুশি মনে দুঃখহীনভাবে তার রাজার জন্যে তার দেশের জন্যে, মরে গেল সে কথা। মহিলাটির মনে হলো যেন সে স্বপ্নেও দেখে নি এমন একটি জগতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে। যে-জগত এতদিন তার একেবারেই অচেনা ছিল। সবাই যখন সেই সাহসী বাবা, যে এমন নিরাবেগ কণ্ঠে ছেলের মৃত্যুর কথা বলতে পারে, তাকে অভিনন্দন জানাতে লাগল, তার খুব ভালো লাগছিল।

তারপর হঠাৎ, যেন যা কিছুই বলা হয়েছে তার কিছুই সে শোনে নি, যেন একেবারে একটা স্বপ্ন থেকে জেগে উঠেছে, সে বুড়ো লোকটির দিকে ফিরে তাকাল। তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তাহলে? তবে কি আপনার ছেলে সত্যিই মারা গেছে?’

সবাই তার দিকে ফিরে তাকালো। বুড়ো লোকটাও, তার দিকে ঘুরে তাকিয়ে রইল। তার বড় বড় ফোলা ফোলা চোখদুটো দিয়ে ভয়ঙ্কর জল টলটল ফ্যাকাশে ধূসর চোখদুটো দিয়ে মহিলার মুখের ওপর গভীর স্থির দৃষ্টি মেলে রেখে, একটু সময় নিয়ে সে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু মুখে কোনো শব্দ যোগালো না। বুড়ো লোকটি মহিলার দিকে তাকিয়েই রইল। প্রায় তখনি যেন, সেই তুচ্ছ অসংলগ্ন প্রশ্নটির জন্যেই – তখনি কেবল যেন বুঝতে পারল, – ওর ছেলেটি সত্যিই মারা গেছে, একেবারেই চলে গেছ, চিরদিনের জন্য। তার মুখটা কুঁকড়ে গেল, অদ্ভুত রকম বিকৃত হয়ে গেল, সে তাড়াতাড়ি পকেট থেকে রুমালটা টেনে বের করল, আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে আর চেপে রাখতে না পারা আর্ত দীর্ণ হৃদয়বিদারী কান্নায় ফুপিয়ে উঠল।

লুইজি পিরানদেল্লো
কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্প লেখক। জন্ম সিসিলিতে ১৮৬৭ সালে। বন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করে রোমে একটি শিক্ষক কলেজে অধ্যাপনা করেন। সেখানেই প্রথম জীবনের দিনগুলো কাটান। ১৮৮৯ সালে একটি কবিতার বই প্রকাশ করেন। এরপর তাঁর নিজস্ব ভঙ্গীতে কথাসাহিত্য রচনা শুরু করেন যেখানে মানব জীবনের জালে বন্দী নারী–পুরুষের চিত্র তুলে ধরতে থাকেন। ইতিবাচক করুণা ও পরিহাসের দৃষ্টিতে তিনি মানুষের অসহায়ত্বকে দেখেন। ১৯১৮ সালের পর থেকে নিজের পুরো সৃজনশীল শক্তিকে মঞ্চে নিবদ্ধ করেন। রোমে নিজের থিয়েটার গড়ে তোলেন, নাটকের দল নিয়ে নিজের লেখা নাটক মঞ্চায়ন করেন ইউরোপ ঘুরে ঘুরে। প্রতীকধর্মী ও ব্যাঙ্গাত্মক নাটক তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়, সেই সাথে বিতর্কিত করে তোলে দুর্বোধ্যতার অভিযোগে। ১৯৩৪ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান। তাঁর অনেক কাজের ভেতরে হেনরী দ্য ফোর্থ, এ্যজ ইউ ডিজায়ার মি, সিক্স ক্যারাকটারস ইন সার্চ অফ এন অথর উল্লেখযোগ্য। ১৯৩৬ সালে তিনি রোমে মারা যান।
এই গল্পটি সম্ভবত তিনি লিখেছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে।

Exit mobile version