ক্ষমা
তোমার মনোভূমিতে নেমে এলে মনে হয়,
দুঃখ ছাড়া তোমাকে আর কোনোদিন
কিছুই দিতে পারিনি আমি
ভরা খরায় উট আসে
অদ্ভুত খেলা দেখিয়ে চলে যায়
বিদেশি বণিক
বন থেকে বনান্তরে
তুমি উড়ে বেড়াও
ভেসে বেড়াও
ভালোবেসে বেড়াও
দুঃখ তোমাকে সেভাবে স্পর্শ করে না আর।
দূরদৃষ্টিতে দেখি,
তুমি ঠিক অবন ঠাকুরের ছবি
কোনো বিদেশী ভাষার গান
মৌলিক ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখো আমায়,
মায়ের সমান।
উপহার
দু’আনার দই পেপসি,
চার আনার লাঠি লজেন্স নিয়ে,
কাল আমি তোমার কাছে যাবো
না-দেখা, আমাদের নাব্যতা মাপলো কতদিন!
কতদিন ব্যথাবীজ অঙ্কুর হলো
উপহার তোমার পছন্দ নয়
তবুও তো তোমার মুখের একবর্ণ আলো
দেখা তো পাবই,
ভ্রমর ভ্রমর
ভাসা ভাসা ভাষা নিয়ে, কাল আবার আমি
তোমার কাছে যাবো,
পিঠে পিঠের থলি। পরনে আমলকিবন।
আমাকে পথ দেখাবেই,
পথিক সুজন
ঘুড়ি
আল ভাঙতে ভাঙতে
ক্রমশ ছোটো হয়ে আসছে আকাশ।
অবশিষ্ট যেটুকু, সেটুকুও
ছিঁড়ে জরি করে সাজানো রয়েছে আকাশীদের আঙরাখায়।
পৃথিবীর শেষতম, খোকা-খুকির ঘুড়ি আর ওড়ে না।
সদ্য বিয়ানো গাভীর দুধের মতো,
শিশুদের মুখ ম্লান।
আমি বুক চিরে দিই, শিশুদের আশায়।
কোনো রামায়ণ লেখা থাকে না, আমার বুকের পাতায়।
ডিবা জ্বালি—
হন্যে হয়ে আমি শুধু খুঁজে বেড়াই
উদার আকাশ…
পল্লব গোস্বামী
জন্ম ও বেড়ে ওঠা, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার মানবাজার মফস্বল শহরে। গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র। লেখালেখির শুরু ২০১৫ সাল নাগাদ। লিখেছেন দেশ, কৃত্তিবাস, কবিতা আশ্রম, কবিসম্মেলন, মধ্যবর্তী সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। প্রথম কাব্যগ্রন্থ “সারাক্ষণ মেঘ ও ময়ূর”। “শীতলপাটি” তাঁর দ্বিতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।