নিরঞ্জনের চোখের সামনে দাঁড়াতে পারে না কেউ। তার এক চোখের দৃষ্টিসীমায় দাঁড়ালেই ফালা ফালা হয়ে যায় দেহ, মনে হয় মাংসপেশী বিদীর্ণ করে ঐ দৃষ্টি অন্তরাত্মার গভীরে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছে কী দেখে নিরঞ্জন, শুধু সে জানে আর জানে সে যে নিরঞ্জনের কাছে নিজের ভূত-ভবিষ্যৎ জানতে চায়।
ধুমেরকুটি গ্রামের নিরঞ্জন এক চোখওয়ালা। সে নিজে এক চোখে যা দেখে গ্রামের শত সহস্র চোখ মিলেও তা দেখে না। অবশ্য একটা সময়ে সে আরও স্পষ্ট দেখতে পেতো সব, প্রায় সব ঘরেরই বিষয়-আশয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতো। এখন যে এতে ঘাটতি পড়েছে তা নয়, আসলে এখন ঘটনার বিষয়বৈচিত্র্য বেড়েছে। এর মধ্যে আবার শরীর মাঝেমাঝেই বেগতিক হয়, তাই সবদিকে দৃষ্টি দিতে দিতে নিরঞ্জন কাহিল হয়ে পড়ে। তবু সে যা দেখে ধুমেরকুটির অন্য কোনো মানুষ তা দেখতে পায় না।
আইজুদ্দিন জানে নিরঞ্জন কী দেখতে পায় তা জানতে না চাওয়াই মঙ্গল। শুধু কি আইজুদ্দিন? এই গ্রামের সবাই জানে মানুষের কপালে কী লেখা আছে তা পড়তে যেমন জুড়ি নেই নিরঞ্জনের, তেমনি পথেঘাটে যাকে তাকে ধরে অমঙ্গলের কথা জানাতেও তার জুড়ি নেই। তবে আইজুদ্দিন কখনোই নিরঞ্জনের কাছে কিছু জানতে চায় না। তবু ভুল হয়ে যায় অকস্মাৎ। অন্যমনস্ক আইজুদ্দিনের মুখ ফসকে প্রশ্নটা বেরিয়ে যায়।
‘কী দেইকনেন কাকা?’
‘কী দেইকনো!’
দম নেয় একচোখা নিরঞ্জন। তারপর আকাশের দিকে তাকায়। আজ পূর্ণিমা, আকাশে পূর্ণ চাঁদের বদলে থোকা থোকা মেঘ ঝুলে আছে। অন্ধকারে মেঘের এই নিশানা নিরঞ্জনের চোখ ছাড়া কেউ দেখতে পায় না। আইজুদ্দিন তবু নিরঞ্জনের মতোই বিমূঢ় হয়ে কৃষ্ণকালো আকাশ দেখে। দেখতে দেখতে যখন নিরঞ্জনকে করা প্রশ্নের কথা ভুলে যায়, তখনই উত্তরটা পায়।
‘তোর কাকা মরা পূর্ণিমাত মইরবে।’
‘দুরো কাকা কী কন!’
বলেই আর পিছু তাকায় না আইজুদ্দিন। ক্ষ্যাপা ষাঁড় তাড়ানো মানুষের মতো দৌড়ায়। নিঃসীম অন্ধকার ডিঙিয়ে আইজুদ্দিন বাড়ির পথ লক্ষ্য করে দৌড়ায় ঠিকই কিন্তু বাড়িতে পৌঁছাতে পারে না। নির্জন পথে গোলকধাঁধার মতো ঘুরপাক খেতে খেতে যেখান থেকে ছোটা শুরু করেছিল সেখানেই ফিরে আসে।
ওকে দেখে আঙিনায় শীতলপাটিতে আধশোয়া হয়ে থাকা নিরঞ্জন দাঁতহীন মুখ ভরে হাসে। হারিকেনের সোনালি আলোয় ঐ হাসি দেখে আইজুদ্দিনের হৃৎপিণ্ড খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চায়। এই হাসি আর এই ডান চোখের গর্তের মতো অংশে চোখ পড়লে শৈশব থেকেই আইজুদ্দিনের বুক হিম হয়ে আসে। ঐ চোখহীন অক্ষিগোলকের ভেতর দিয়েই যেন মানুষটা অন্যের ভবিষ্যৎ দেখতে পায়। আইজুদ্দিন তার ফকফকা ভবিষ্যতের কিছুই দেখতে চায় না বলেই বরাবর নিরঞ্জনকে এড়িয়ে চলে।
‘অত তাড়াহুড়া কিসের বাহে!’ বলেই নিরঞ্জন অর্থবহ হাসে।
‘কপালোত কী আছে না আছে সেইটা কি কায়ো কবার পাইছে?’
আইজুদ্দিন কিছু বলে না। শ্রোতাকে নিরুত্তর দেখে নিরঞ্জনের এক চোখ জ্বলে ওঠে। সে যেন এইবার আইজুদ্দিনের গোপন অভ্যন্তর দেখতে পায়।
‘তুই নঈমুদ্দিনের ব্যাটা নোয়াইস? যুদ্ধের সময় এত্তোকোনা আছুলু। মুই তোমার বাড়িত উঠছুনু। তোর মাও দয়া মাইয়ের দয়ার শরীর। মুরগির তরকারি দিয়া ভাত খোয়াইছিল এতগুলা।’
অতীতের কথা শুনে হাঁফ ছাড়ে আইজুদ্দিন। প্রশান্ত কণ্ঠে বলে, ‘কাকা চা খাইবেন নাকি? একাব্বরের দোকান তো খোলা নাই। মগা তো মইরছে মইরছে, সবাকে নিয়া মইরছে। মুই বাড়ি যায়া বউক কও চা পাটেবার।’
‘বাড়িত পৌঁছিবার পাবু তো?’
‘কী কন কাকা!’
বিচলিত আইজুদ্দিন কথা বাড়ায় না। গা ছমছমে অনুভূতি নিয়ে এক পা দুপা করে হাঁটে। কপাল দোষে আজ ও বাড়ির বাইরে পা দিয়েছিল। একাব্বরের কাছে টাকা পায় আইজুদ্দিন, এই মৌসুমে দোকানে মাল তুলতে গিয়ে তিন হাজার টাকা ধার নিয়েছিল একাব্বর। বলেছিল দুই মাসের মধ্যে দিতে না পারলে আইজুদ্দিন যেন সুদ গোনা শুরু করে। এখন সুদ গুণবে কী, আসল তোলাই মুশকিল। আইজুদ্দিন ভেবেছিল গা ঢাকা দেওয়ার আগে স্ত্রীর হাতে টাকা কয়টা গুঁজে দিয়ে যাবে। এদিকে একাব্বর আজ দোকানই খোলেনি। শুধু কী দোকানপাট, আজ ধুমেরকুটির প্রতিটি বাড়ির দরজা-জানালাও বন্ধ।
নিরঞ্জনের বাড়ি থেকে বের হয়ে পশ্চিমে আধমাইল হেঁটে গেলেই আইজুদ্দিনের বাড়ি। আইজুদ্দিন হাঁটতে হাঁটতে ছোটে, ছুটতে ছুটতে হাঁটে। শস্য ভরা মাঠে তরতরিয়ে হাওয়া ওড়ে। পথের দূরত্ব কমার বদলে ক্রমশ বাড়ে। আজ যেন কিছুতেই বাড়ি পৌঁছাতে পারবে না ও।
আজকের দিনটা ভালো নয়। মগা তালুকদার পরশু রাতে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় খুন হয়েছে। কে যেন মানুষটার শরীর নিঙড়ে সব রক্ত বের করে ফেলেছে। প্রাকৃতিক কাজ সেরে ঘরে ফিরে স্বামীকে মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করেছে মগা তালুকদারের বিবি। তার মাতমেই গ্রামের মানুষের ঘুম ভেঙেছে। দেখতে দেখতে গাড়িভর্তি পুলিশ এসে তালুকদার বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। রাতারাতি হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে। তার জেরেই ধুমেরকুটির পথঘাট এমন ঝিম মেরে আছে।
একটা হত্যা মামলা দায়ের হলেই ধুমেরকুটির পথঘাট এমন সুমসাম হয়ে যায়। পুকুরপাড়, হাটবাজার, আইল থেকে শুরু করে যেই মসজিদে পর্যন্ত লোকের নিত্য যাওয়া আসা সেখানেও কোনো জনমানুষ্যির দেখা মেলে না। ঘাসহীন সরু পথে উইয়ের ঢিপি বসে, হাঁটুসমান আগাছা লকলক করে। ধান ভরা ক্ষেত নেতিয়ে পড়ে। বাড়ির উঠানগুলো অব্দি লেপাপোঁছার অভাবে আগাছা আর ময়লায় সয়লাব হয়ে যায়। যেন কোন এক জাদুমন্তরে বাড়িঘরের কচিকাঁচা, বউঝিরা সুদ্ধ লোপাট হয়ে যায়। রাত কি দিনে-দুপুরেই কান পাতলে নিঃসঙ্গ বাতাসের গোঁ গোঁ ধ্বনি ছাড়া কিছুই কানে আসে না।
পুলিশী ঝুটঝামেলা শেষ হলে ঘরের খিল খুলে একে একে বেরিয়ে আসে সকলে। এর ভেতরে খবর মেলে অমুকের বাপ, তমুকের স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। ‘দুর্গা দুর্গা’ বলে মন্ত্র জপে কিংবা আয়েতুল কুরসী পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে যে যার মতো হাঁপ ছেড়ে উঠতেই ফের পুলিশী ধরপাকড় শুরু হয়।
আজ ভোর থেকেই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। পথ-ঘাটে লোকজনের চলাচল ক্রমে সীমিত হয়ে আসছে। যে যার মতো নিরাপদ স্থানে গা ঢাকা দিচ্ছে। এক নিরঞ্জনেরই কোনো দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শূন্য ভিটা কামড়ে পড়ে আছে সে। মৃত্যুকে যেমন ভয় নেই নিরঞ্জনের তেমনি নিজের ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়েও কোনো ভয়-ভাবনা নেই। আদৌ সে তার নিজের মৃত্যুর দিনক্ষণের নিশানা টের পায় কিনা তা কেউ জানে না। তবে মগা তালুকদারের মৃত্যুর আভাস নিরঞ্জনই প্রথম গ্রামের মানুষকে দিয়েছিল। অথচ এই নিরঞ্জনই এত বছর অযুত নিযুত বার বলে এসেছে, ‘ঐ পাপিষ্টো সহজে মইরবার নায়।’
মগা তালুকদার যেদিন খুন হয় সেদিনই প্রথম নিরঞ্জনের মুখে ব্যতিক্রম কথা শুনেছিল ধুমেরকুটির মানুষ। সেদিন ভরদুপুরে বরাবরের মতো হাট ফিরতি মানুষ চা খেতে দাঁড়িয়েছিল একাব্বরের দোকানে।
ডান চোখের গর্তটা উন্মুক্ত করে বাম চোখটা বুঁজে নিয়ে নিরঞ্জনও সেসময় চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিল। এই সময়টাতে নিরঞ্জনকে ভারি অদ্ভুত দেখায়। তার কুঁজো পিঠ-কাঁধ, ভঙ্গুর দেহ ঋজু হয়ে ওঠে; শুভ্র চুল, ভ্রু বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ে যেতে চায়। কাপে শেষ চুমুক দিতে দিতে সে সামনে দাঁড়ানো মানুষটির কপাল আদর্শলিপির মতো পাঠ করে নেয়।
সেদিন তার সামনে মগা তালুকদার ছিল না। নিরঞ্জন তবু আচমকা বলে উঠেছিল, ‘আইজকায় তালুকদারের শ্যাষ আইত। পাপের ঘড়া পূর্ণ হইছে ওর।’ পাপের ঘড়া যে উপচে উঠেছে তা অবশ্য সেদিন ধুমেরকুটির সকলেই অল্প-বিস্তর টের পেয়েছিল।
ধুমেরকুটিতে সেদিন সকাল সকাল এক ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিটা ঘটনার নেপথ্যে কিছু খুচরো ঘটনা থাকে। এইসব ঘটনা জোড়াতালি দিতে দিতে দোকানদার মনার সঙ্গে মগা তালুকদারের শত্রুতা চরমে পৌঁছেছিল। তাই মগা তালুকদারের ছেলে মঈনের চুরি যাওয়া সাইকেল মনার বাড়ি থেকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর আর দেরি করেনি তালুকদার, মনাকে নিজের হাতে সাজা দিয়েছিল। মঈনের তাগড়া চার সহযোগী মিলে মনাকে মাটিতে ঠেসে ধরে ছিল আর বড় একটা হাতায় করে ওর মুখে মানুষের মল ঢেলে দিয়েছিল মগা তালুকদার।
তখনও দর্শনার্থীদের মধ্য থেকে নিরঞ্জন উচ্চস্বরে বলে উঠেছিল, ‘আইজকায় তালুকদারের শ্যাষ আইত।’ সকালে এ কথা ভয়ে পুলিশকে বলেনি কেউ। বললে নিরঞ্জন এতক্ষণে নির্ঘাৎ হাজতে থাকতো। ধুমেরকুটির মানুষ আসলে ভয় পায় নিরঞ্জনকে। ভাবে অশরীরী কোনো আত্মার আছর আছে নিরঞ্জনের ওপরে, ঐ আত্মাই একচোখা নিরঞ্জনকে সময়ে অসময়ে সব দেখায়।
মিশমিশে অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না আইজুদ্দিন, শুধু টের পাচ্ছে বাতাসে ভয় মর্মরিত হচ্ছে। সামনে এক পা এগোতে গিয়ে দুই পা পিছিয়ে এসেছে ও। এখন তো এই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথই চিনতে পারছে না। পা ফেলতেও পারছে না সামনে, কেউ যেন ওর দুই পা মাটিতে গেড়ে রেখেছে।
নিরঞ্জন তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে আইজুদ্দিনকে দেখছে। বিপদে পড়েছে ছেলেটা। দয়া মাইয়ের ছেলে, দয়ার শরীরই হবে। নিরঞ্জনের মনে স্নেহ হু হু করে ওঠে। আপদ তাড়ানোর মতো সে ডান হাতের পাতা নাচিয়ে সস্নেহে বলে, ‘একোন যাও তোমরা।’
কারা যাবে জানতে না চেয়ে ফের পা ফেলতে উদ্যত হয় আইজুদ্দিন। কিন্তু ওর পা সরে না। ভগ্নস্তূপের ভেতরে ডুবে গেছে ও, পরিত্রাণের উপায় জানা নেই। উপায়ন্তর না দেখে ‘মা, মা’ বলে ডুকরে কেঁদে ওঠে আইজুদ্দিন। অশ্রুর স্পর্শেই যেন পাথর মাটি নরম হয়। হঠাৎ এক পা দুই পা করে হাঁটতে পারে আইজুদ্দিন। হাঁটতে হাঁটতে একসময় নিরঞ্জনের বাড়ির উঠান ছাড়িয়ে দুই বাড়ির মধ্যবর্তী ছাতিম গাছের নিচে এসে দাঁড়ায়। পরিচিত জায়গা দেখে বহুক্ষণ পরে বুক ভরে শ্বাস নেয় আইজুদ্দিন। সামনের পথ ডুবানো অন্ধকার ম্লান হয়ে যায় নিমিষেই। এই পথটুকু পেরোলেই ওর বাড়ি। অবশেষে উদ্ধার পেলো ভেবে ওর হৃৎপিণ্ডের ছটফটানি কমে আসে। কিন্তু আচমকা কী হয়, ঝিরঝিরে বাতাসের বুক চিরে নিশিপ্রাণীরা সমস্বরে ডেকে ওঠে। এই ডাক কান্নার মতো করুণ শোনায়। সহস্র কণ্ঠের হাহাকার সহ্য হয় না আইজুদ্দিনের। দুহাতে কান চেপে চোখ বন্ধ করে ও।
চোখ খুললে কী দেখতে পাবে তা জানে আইজুদ্দিন তাই সজোরে দুই চোখের পাতা চেপে থাকে। চোখের পাতার আড়ালে অন্ধকার ছাড়া কিছুই থাকে না। বেশিক্ষণ অন্ধকারে থাকতে পারে না আইজুদ্দিন, বন্ধ চোখের পাতায় আলোর তীব্র ঝলকানি লাগতেই এক বুক শঙ্কা নিয়ে দুচোখ মেলে। কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবার তা দেখে আর বিস্মিত হয় না ও, বিস্মিত হয় আকাশব্যাপী আলোর অবিশ্বাস্য ফুলঝুরি দেখে। কে বলবে, কিছুক্ষণ আগেও অত বড় আকাশটাকে অন্ধকার গ্রাস করে নিয়েছিল।
মেঘ সরে গিয়ে এখন আকাশের কালো স্লেটে একখানা বড়সড় চাঁদ ফুটে উঠেছে। আলোর প্লাবনে একচোখা নিরঞ্জনের বাড়ির উঠান ভেসে যাচ্ছে, সেই আলোয় নিরঞ্জনের দৃষ্টির মতোই সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে আইজুদ্দিন।
কিন্তু আইজুদ্দিন যা দেখতে পায় তাতে ওর শরীরের প্রতি ফোঁটা রক্ত লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠে। রক্তের নাচনে ওর সর্বাঙ্গ কাঁপে। কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে আইজুদ্দিন এক ঝলকে পুনরায় দেখে নেয়, একাত্তরে রাজাকার মগা তালুকদার নিরঞ্জনের যেই চোখটা উপড়ে নিয়েছিল সেটি নিজের খোপে ফিরে এসেছে আর ধুমেরকুটি গ্রামের একচোখা নিরঞ্জন দুই চোখ নিয়ে মৃতবৎ শুয়ে আছে।
সাদিয়া সুলতানা
ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করছেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামানের সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিত আইন অভিধান ‘আইন-শব্দকোষ’ এ তিনি গবেষণা সহকারীরূপে কাজ করেছেন। বর্তমানে বিচারক হিসাবে বাংলাদেশ বিচার বিভাগে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ৫, উপন্যাস ৫।