অবশেষে…
প্রিয় পাঠক, আমাদের এই ভূখণ্ডে ‘জুলাই আন্দোলনে’র কিছুদিন পরেই সীমান্তের ওপারে শুরু হয় ‘রাত দখল’-এর আন্দোলন। জুলাই আন্দোলন নিয়ে তীরন্দাজ একটি বিশেষ সংখ্যা করেছে। এরপর ইচ্ছে ছিল ‘রাত দখল’ নিয়ে একটা বিশেষ সংখ্যা করবার। সেইভাবে লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা লেখাও দিলেন, অনেকের কাছ থেকে লেখা পাওয়ার প্রতিশ্রুতিও পেলাম। কিন্তু এর মাঝে হঠাৎ করে তীরন্দাজ-এর ওয়েব সাইটটিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিল। থমকে গেল প্রকাশনার কাজ। অবশেষে সেই সমস্যা কাটিয়ে সংখ্যাটি লেখকদের সামনে হাজির করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সময় মতো প্রকাশের প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করতে পারিনি বলে সীমান্তের ওপারের লেখক বন্ধুদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। সংখ্যাটি কেমন লাগল, আমাদের জানাতে ভুলবেন না। চিঠি লেখার ইমেইল অ্যাড্রেস : eteerandaz@gmail.com
সবার জন্যে শুভকামনা।
দুটি কবিতা | অরিন্দম রায় | রাত দখল
ক্লীব
আমরা বুঝি না অত কতখানি চাল হয় কতখানি ধানে
রাষ্ট্রীয় অধ্যাদেশ শুয়োরের বাচ্চারা জানে!
আমরা জানি না কেন স্বদেশকে মনে হয় পাতালের পুরী
শাসকেরা আস্তিনে মুছে ফেলে রক্ত মাখা ছুরি
আমাদের ছোট নদী আজও তার চলা আঁকে-বাঁকে
বেহুলা ভাসানে যায় জনগণ চুপ করে থাকে!
তবু যদি কোনোদিন ঘুমিয়ে ওঠার পর জেগে
নিজেকে চাবুক মারি অপরাধী বলে দিই দেগে!
এহেন ছেনালি দেখে কথা দাও করবেনা ক্ষমা
ক্লীবের কলম দিয়ে লিখে রাখা এসব উপমা !
ধর্মরাজ্য
যতখানি রাগ হয় তার চেয়ে বেশি গিলে ফেলি
আরও বেশি রাগ হলে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার খেলি!
শোকের আগুন থেকে উড়ে যায় ছাই
নতমুখে মেনে নেব শাসকের ধানাইপানাই?
আমাদের ভুল হয় শাসকের ভুল নেই কোন
দুই কান খোলা রেখে অমৃতবচন শুধু শোনো
শুনি আর মনে মনে ক্রোধের আগুনে যাই পুড়ে
সত্যের ঠাঁই নেই আমাদের হস্তিনাপুরে!
সত্য সেই মৃতদেহ শমীবৃক্ষে তুলে রাখা আছে
পাশা খেলা শেষ হলে উল্লসিত শকুনিরা নাচে
তবুও ভরসা রাখি জিতবে না একশো কৌরব
মানুষ গুঁড়িয়ে দেবে শাসকের সাধের রৌরব!