মানুষের বলবার কথা হচ্ছে শব্দস্রোত। অনুভবে আর অভিজ্ঞতায় ভাস্কর্যময়। আনন্দ-বিষাদ-রক্ত-স্বেদ-ক্লান্তিতে আলোকময়। শব্দের এই সুরম্য ভুবন গড়ে তোলেন লেখক। তার দ্যুতি প্রথমে আমাদের চোখে পড়ে, তারপর হৃদয়ের গহনে শিশিরের শব্দের মৃদু ছোঁয়ায় বিমুগ্ধ করে।
লেখা মানে জীবন্ত পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া, লেখা মানে ছাইয়ের ভেতর নতুন করে জন্মানো – কবি ব্লেজ সাঁদ্রারস তো এই রসময়তার দিকেই লেখালেখি আমাদের টেনে নিয়ে যায় বলেছেন। সাত বছর আগে তীরন্দাজ যখন প্রথম বেরয় তখন বাংলাদেশের পাঠকদেরকে অধুনাতম লেখার সঙ্গে পরিচিত করানোই ছিল লক্ষ্য। খুব দ্রুতই পাঠকদের প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠেছিল এটি। কিন্তু নানান কারণে, যে কারণগুলি আমাদের ইচ্ছাকৃত ছিল না, এর প্রকাশনাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারিনি। মাঝে মাঝেই ছেদ পড়েছে। অনেক দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেছে। অনেকেই তখন জানার চেষ্টা করেছেন, কী হলো, কিন্তু আমাদের সদুত্তর ছিল না। কিন্তু এই যে অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতি, এর জন্যে আমরা দায়ী ছিলাম না। কিন্তু এবার সেই অচলায়তনের অবসান হলো। আমরা আবারও নিয়মিত পাঠকদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি।
এবার একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমরা শুরু করেছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, প্রযুক্তি নিয়ে যে কত রকমের কারসাজি কেউ কেউ করে থাকেন, তীরন্দাজ প্রকাশিত না হলে একথা জানা যেত না। আমাদের ওয়েবসাইট নিয়ে ঠিক তেমনটাই ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে আর কেউ সে সুযোগ পাবেন না।
আমাদের লেখকদেরকে আবারও অনুরোধ করব, তারা তাদের লেখা দিয়ে তীরন্দাজকে সমৃদ্ধ করুন। পাঠকেরা নিয়মিত পত্রিকাটি পড়ুন আর কী চাই আমাদের জানান। আমাদের লক্ষ্য থাকবে বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের শীর্ষ লেখকদের সেরা লেখাগুলি আমরা প্রকাশ করব। লক্ষ করে দেখবেন, এবার তীরন্দাজ আরও বহুমুখি এবং আরও বিচিত্র রূপে প্রকাশিত হবে। প্রযুক্তির সমস্ত সম্ভাবনাকে আমাদের ওয়েবজিনে আপনারা প্রতিফলিত দেখতে পাবেন। ফলে, এটি হয়ে উঠবে বিশ্বমানের একটি সাহিত্য-সংস্কৃতির পোর্টাল।
লেখালেখি নিয়ে তীরন্দাজের বাইরেও আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে।
পূর্বের মতই আমরা লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা তীরন্দাজ পড়ুন। তীরন্দাজ আপনাদের জন্যেই। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন আমাদের সঙ্গে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
পুনশ্চ
তীরন্দাজ ওয়েবসাইটটির নির্মাণ এখনও পুরাপুরি সম্পন্ন হয়নি। তবে খুব শিগগির আমরা এটা করে উঠতে পারব বলে আশা করছি।
মাসুদুজ্জামান
প্রধান সম্পাদক
ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৩