বাংলাদেশ থিয়েটার
সময়টা ভয়ঙ্কর।
আমরা এক অস্থির সময়ের মধ্যে বাস করছি। এখানে শপথবাক্য আছে। প্রতিজ্ঞা আছে। মান্যতা নাই। ব্যক্তিত্ব নাই। আত্মবিশ্বাস নাই। অহম আছে। সমস্ত পৃথিবী আজ ভালো নেই। শুধু আমার বা আমাদের দেশকাল সমাজ নয়। এই বেনোজলের ঘূর্ণাবর্তে বোধসম্পন্ন নিরাশ্রয়ী মানুষমাত্রই নিতে হয় জীবনানন্দীয় স্মরণ।
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা
গান বক্তৃতা নাটক পুরস্কার ধ্যাষ্টামো চলছে। চাটুকার বশংবদ দলীয় পঙ্গপাল ‘জী মহারাজ নৃত্য’ করছে। পত্রিকা মিডিয়া অন্ধত্ব মেনে নিয়ে নষ্টামির পুনরুৎপাদন এবং প্রচারে ব্যাপক সহায়তা করছে। এসব সর্বকালেই ঘটে। শ্রেণিবৈষম্য সমাজে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার পচনকালে এরকমই হওয়ার কথা। সৃষ্টিশীল মানুষ এসব মেনে নিয়েই সৃষ্টি চালিয়ে যান। তবে সৃষ্টিশীল মানুষ তো আর সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে জঙ্গলে গিয়ে গাছের উপর বসবাস করেন না। সমাজের এইসব হেজিমনি-আধিপত্যবাদ মাঝে মাঝে নিরালম্ব করে দেয়। ব্যক্তি দল ক্ষমতা মিডিয়া পুরস্কার নেটদুনিয়া উপর্যুপরি চাপ দিতে দিতে সৃষ্টিশীল প্রান্তিক শিল্পিকে বৃত্তের বাইরে ছুঁড়ে দেয়।
সে এক শূন্য স্থান।
যেখানে দাঁড়িয়ে লেখক-শিল্পি বুঝে নেন আমার দ্বারা কিছু হবে না। আমি অতি সাধারণ। আমার কিছু হয় না। আমার কোনও আত্মজ্ঞান নেই। অগাধ আত্মকুণ্ডায়ন আমার প্রাপ্য। লেখক নিজেই নিজেকে ধিক্কার দিতে প্রস্তুত হয়। অবিরাম চলতে থাকে আত্মধিক্কার। উড়তে থাকে শূন্যতার পেন্ডুলাম।
এবং শূন্য। শূন্য তো শুধু শূন্য নয়।
সেই শূন্য কুণ্ডলির মধ্যে একবার যদি শিড়দাঁড়া সোজা হয়ে যায়, এসে যায় সেই অক্ষমতা থেকে অলৌকিক ক্ষমতা – জন্ম নেয় জীবনানন্দ। কালীদহের ঘূর্ণিজলে ভেসে ওঠে বৃত্তাকার পরিধি। সেখানে ফুটে ওঠে রাষ্ট্রের কালসিটে দাগ। স্বাধীনতা পেয়েছি তবু যেন স্বাধীনতা পাইনি। গণতন্ত্র পেয়েছি তবু যেন গণতন্ত্র পাইনি। গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার আধিপত্য। এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে চলেছে আমার দেশ। এভাবেই রাজনীতি শিল্প-সাহিত্যের ক্ষতি করে দেয়। করে, আবার করে না। শিল্পীর ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। অনেক বিশুদ্ধ শিল্পসাহিত্য ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। আবার অনেক রাজনৈতিক রচনা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। গালিভারস ট্রাভেলস, অ্যানিমেল ফার্ম, ঘরে বাইরে, পথের দাবি ইত্যাদি। প্রেম-ভালোবাসা কিংবা সামাজিক গালগল্প লেখার অভাব কোনকালেই ছিল না। রাজনৈতিক অন্যায় অত্যাচার অর্বাচীনতা আছে থাকবে। ছিল চিরকাল। ক্ষমতার হাতকে শক্তিশালী করার আর্দালিগণ কিছু না কিছু মধু-রেণু পেয়ে যায়। ক্ষমতার চারিদিকে সারাক্ষণ মাছি হয়ে ভনভন করতে থাকে। একটা নিম্নগামী বলয় তৈরি হয়। প্রকৃত লেখক এই বলয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্ষমতার অন্যায় প্রত্যক্ষ করে। এই লেখক দ্রষ্টা সমাজ ও রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নারী-পুরুষের দৈনন্দিন সাতকাহন নিয়ে পড়ে থাকে না। রাজনৈতিক হিংস্রতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপটের বিরুদ্ধে সে কলম ধরে। ক্ষমতার হাতকে ‘না’ বলে। এর জন্যে লেখকের সাহস থাকতে হয়। কাপুরুষ কখনও লেখক হতে পারে না।
লেখকের সংকটের শেষ নেই।
ঈশ্বরের মৃত্যু ঘোষণা করেছেন নিৎসে। সার্ত্রে ঘোষণা করলেন অস্তিত্ব। গাসেৎ বলেন বিমানবিকরণের কথা। রলা বার্থ ঘোষণা করেছেন লেখকের মৃত্যু। এদিকে ইতিহাসেরও মৃত্যু ঘটেছে। দেরিদা বলছেন সকল সমস্যা ভাষার সমস্যা। শব্দই জগৎ। শব্দের ভিতর লুকিয়ে থাকে ইমেজ-দৃশ্য-ব্রহ্মাণ্ড। এই ঘূর্ণাবর্তে লেখক-শিল্পী দিশেহারা। একদিকে সে বৃত্তাকার পরিধির বাইরে থাকে। তার জন্যে নাই প্রতিষ্ঠানের সিংহাসন। লেখকের নাই প্রতিভার গোলক। আর একবিংশ শতাব্দীতে ঘটে গেছে পাঠকের মৃত্যু। তবু প্রতি বছর হাজার হাজার কাগজ ছাপা হয়। রঙ-বেরঙের প্রচ্ছদের আড়ালে পুরনো রীতির বহুচর্চিত বস্তাপচা গল্প উপন্যাস কবিতার বই। বছর না ঘুরতেই সেসব বিস্মৃতির অতল অন্ধকারে হারিয়ে যায়। এসব নিয়েই মাসব্যাপী চলে চেতনা জাগানো মিডিয়াচমক বই মেলা।
বই মেলা।
আর সব বাজারি মেলার মতই কর্তাব্যক্তি অধ্যুষিত। এখানকার কর্তাব্যক্তিরা থাকেন অদৃশ্য। বড়ো পুঁজি ছোট পুঁজির সহবস্থানে পণ্যের আয়োজন। এই সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ঘটে নানা পেশার নানান ধান্ধার লোকের আগমন। বইকেনা ব্যক্তির সংখ্যা নগন্য। বেশির ভাগ দেখা যায় পরিচিত লেখকের ফর্দ হাতে ঘুরছে। কোথাও আবার লাইন পড়ে যায় আমলা লেখকের কনিষ্ঠ সহকর্মীদের। এ উপলক্ষে ঢাকার বাইরে তো বটেই, দেশের বাইরে থেকেও অতি উৎসাহিরা চলে আসেন। টেলিভিশন চ্যানেল কাছে পেলে স্মৃতির ভার আর ধরে রাখতে পারেন না। স্মৃতিভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। যত্রতত্র দেখা যায় মোড়ক উন্মোচনের মড়ক। সেখানে নেতা গোছের কেউ থাকেন। যিনি গাছের খান তলারও খান। তিনি কোরবানির পশু কাটার হুজুরের মতই পটাপট দুই তিনটা ফিতা একবারে জবাই করে ফেলেন। তারপর সাঙ্গপাঙ্গসহ চলে সেলফি পর্ব। কিছু মিডিয়া বা পত্রিকা প্রতিদিনের খবরাখবর নিয়ে রঙিন ট্যাবলয়েট ছাপে। সেখানে ক্ষমতাঘেঁষা লেখকের শ্রেণিচরিত্র জ্বলজ্বল করতে থাকে। এই সমাজে তরুণ তরুণীর শূন্য স্থানের বড়ো অভাব। গার্হস্থ্য জীবনের একঘেয়েমি থেকে কেউ কেউ অফিস ফেরত মুক্তি লাভ করেন। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে কিছুটা পুরনো কাসুন্দি ঘাটাঘাটি চলে। অবশ্য একবার বইমেলায় গিয়ে পড়লে কেউ কেউ বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে এরকম সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এইসব নিয়ে বইমেলা সারাক্ষণ থাকে জমজমাট। আরও অনেক অনেক দৃশ্য তৈরি হয়। নতুন বইয়ের ঘোষণা দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠে মাইক বদল করে একাডেমির ঘোষক। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কখনও লাইফ, কখনও স্টিল লাইফ, কখনও আর্কাইভ চালাতে থাকে। কিছু কিছু বড়ো প্রতিষ্ঠানের অলেখকদের রোয়াব দেখিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় অটোগ্রাফ দেয়ার মোশন নিয়ে।
এক পত্রিকা আরেক পত্রিকার লেখককে নিয়ে ফিচার করবে। ক্ষমতাধর আমলার নিচে অধ্যাপকের লেখা গুঁজে দেবে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার গ্রাহককে আর ডাক্তার তার রোগীকে অনিচ্ছুক পাঠক বানিয়ে ফেলবে। বহুদিন ধরে এসব চলে আসছে। এসব অব্যবস্থার মধ্যে ভরসা ছিল ছোটকাগজ।
হায় ভগবান! সেখানে বিরাট বেলাল্লাপনা। প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করতে করতে প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা। একেকজন আকবর বাদশা! মেরুদণ্ডহীন জেলিফিস। অবৈধ উৎকোচের কিয়দংশ নিয়ে মহারাজার সিংহাসনে বসে যায় বাটুল দ্য গ্রেটরা। জনা পঞ্চাশেক বশংবদ নিয়ে থান ইট সাইজে নিজেরই স্মরণ সংখ্যা ছাপিয়ে ফেলে। শেষে মরার পর যদি কেউ কিছু না ছাপে!
এরই মধ্যে ধিকি ধিকি করে কিছু কিছু ছোট কাগজ লাইফসাপোর্টে যাওয়া আসা করে। এরাই সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখে। ছোট কাগজের চত্বরে এরা দলবদ্ধভাবে সমাগত হয়। চা-সিগারেটের সাথে নিজেদের রাগ ক্ষোভ উগড়ে দেয়। নিজেদের মধ্যে এরা কাফকা কামু জয়েসকে দেখতে পায়। এদের ছোট ছোট পাঁচ সাতজনের একেকটা দল। যদিও দূরপাল্লার দৌড়ে এদের অনেকেই হারিয়ে যায়।
কোনদিন সাফল্য আসবে না জেনেও যারা লিখে যায়। নিশ্চিত পরাজয় জেনেও যারা লড়াই করে। এসব পত্রিকা তাদের তুলে ধরে। শূন্যে দাঁড়িয়ে থাকা প্রান্তিক লেখকের তেজ জেদ একগুয়েমি একাগ্রতাকে প্রশ্রয় দেয়।
এভাবেই রাস্তার পাশের টং এর দোকানের চা আর কাগজ মোড়ানো তামাকের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে পৃথিবীর তাবৎ শিল্প বুকখোলা হাতছানি দেয়। দিগন্তে দেখা দেয় অনিবার্য রংধনু। রক্তের গঠনতন্ত্রে সারা দেয় স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতায় একেশ্বর নাই। বহুস্বর নাই। আস্তিক্য নাই। নাস্তিক্য নাই। সৃষ্টি আর স্রষ্টা একাকার হয়ে দৃশ্যমান হয় সৌন্দর্য। কররেখা অতিক্রম করে যায় সীমারেখা। হতাশা পরাজয়ের পথ ধরে লুপ্ত হয় নশ্বরতার
ভেদাভেদ। বেহিসেবী অর্বাচীন আস্ফালন লিখে ফেলে মহাজাগতিক ইস্তেহার।
এই দুর্নীতিগ্রস্থ অন্ধকার দেশে আমার জন্ম। এখানে আমার বেড়ে ওঠা। এই শহরের প্রতিটি ইট পাথর অলিগলি তস্যগলি আমার আজন্ম চেনা। পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে এ শহর আমি আর চিনতে পারি না। আমার শৈশব যৌবনের শহর চলে গেছে বহিরাগত সাংস্কৃতিক লুম্পেনদের দখলে। নিজেরই শহরে আত্মগোপন করে থাকতে হয়। লুকিয়ে যেতে হয়। আমি চিনতে পারি না আমার স্কুল কলেজ শিল্পালয় আকাশ মাঠ রাস্তা হোটেল বাজার জলাশয় বাড়িঘর। উন্নয়নে ঝলসানো মানুষগুলো যেন কাবাব-পোড়া অচিন পাখি। পাশ কেটে চলে যায়। দৃষ্টি বিনিময় হয় না। যাদের বুকে একদা ছিল বারুদ। চোখে ছিল আগুন। লড়াইয়ের কথা বলত দাসত্বহীনতার বিরুদ্ধে। স্বপ্ন দেখত শ্রেণিহীন সমাজের। বলত সকল শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তারা আজ পক্ষাঘাতগ্রস্থ। কেউবা আপোসনামায় সই করে পুরস্কারের লাইনে। বাজারকেন্দ্রিক বর্বর সভ্যতা- মননশীল গভীরতা আর তরলতা, নৈতিক আর অনৈতিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের দ্বন্দ্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আমাদের সমাজব্যবস্থা অনেক দিন ধরেই উটের পিঠে চলেছে। সেখানে লেখক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা নন। কচ্ছপের পিঠে পাড়ি দেয়া সাহিত্য কত দূর আর যায়। জল শুকিয়ে গেলে গলা উঁচিয়ে পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর গতি থাকে না।
যেখানে তাবড় তাবড় বুদ্ধিজীবীরা বুঝতেই পারছেন না তারা ক্ষমতার সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন, যখন নৈতিকতা দুইভাগ হয়ে যায়। শোষক নৈতিকতা আর শোষিতের নৈতিকতা। মূল্যবোধ আলাদা হয়ে যায়। শোষকের মূল্যবোধ আর শোষিতের মূল্যবোধ। সমগ্র জাতি যখন লুটপাটে ব্যস্ত তখন বিপ্লব-টিপ্লব নামক গালভরা কথা না বলি। কি করে একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বীজ বুক পকেটে রক্ষা করা যায় তা ভেবে নেই। পাখিদের শিখিয়ে রাখি বীজমন্ত্র।
লেখক-শিল্পি এবং পাঠক সৃষ্টিশীল মনুষ্যমাত্রই হয়ে উঠুক স্বাধীন সার্বভৌম। লেখকের যাবতীয় স্ববিরোধ আর সীমাবদ্ধতা নিয়েই তৈরি হোক সাহিত্যের মুক্তাঞ্চল। শিল্পীকে নিপীড়ন করুক যাবতীয় ক্ষোভ হতাশা ক্রোধ বিক্ষোভ অশান্তি। শিল্পীর অনুভবে আসুক বিপন্নতা বোধ। খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে সে দেখুক নীল আকাশ। মাথার উপর খড়্গ নিয়েই হয়ে উঠুক দ্রোহপুরুষ। শব্দের শৃঙ্খল ভেঙে সে প্রকাশ করুক অস্তিত্ব। লেখার মধ্যে নয় লেখার বাইরে যে বুদবুদ শূন্য ভাসে সেখানে লেখা পাঠ করুক পাঠক।
হ্যাঁ, লেখার বাইরে। মঞ্চের বাইরে। অভিনয়ের বাইরে। সেমিনারের বাইরে। বক্তৃতার বাইরে। কেননা টেক্সট তখন কেবল খাঁচা। ভিতরে প্রাণ নাই। যখন মানুষের চেয়ে লোহার দাম বেড়ে যায় তখন ঠিক জায়গায় ঠিক জিনিসটি থাকে না। রাষ্ট্রীয় গ্রাসের কবলে মানুষ যখন বিপন্ন। যখন মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের তহবিল লুট হয়ে যায়। সৃষ্টিশীল মানুষ যখন নিজ নিজ গুহায় আশ্রয় নেয়। তখন সম্মুখে ভেসে ওঠে ডিজিটাল অন্ধকার। তখন একটানা শুধু বেজে যেতে পারে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত। বর্তমান নিয়ে নাটক কবিতা গান থেমে যায়।
থিয়েটার ভয়ানক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা নিয়ে নাটক নাই। আছে কিছু বিনিয়োগের বিনিময়ে ভক্তিবাদী কুর্নিশ। আর আছে বিদেশি ছায়া-অবলম্বনে কায়া। মরা গল্প আর খ্রিষ্টজন্মের আগে পরের সংস্কৃত আর গ্রিক বাগানে ঢুকে পড়েছেন কেউ কেউ। কী আর করা চলুন অপেক্ষা করি। অপেক্ষার কালে চিন্তা বারুদ হয়ে উঠুক। বারুদের ঘর্ষণে আলো জ্বললে হয়ত পথ দেখা যাবে।
অপু শহীদ : লেখক ও নাট্যকার