কবিতা বিশেষ সংখ্যা

৫টি কবিতা | হোসেন দেলওয়ার | উৎসব সংখ্যা ২০২৪

পাহাড়ই সঠিক,
সমুদ্র অধিক ঘৃণা নিয়ে বালির তর্জমা করে

ঢেউ আসে
প্রত্যাখানে দূরে সরে যায়,
মেঘের প্রভাব নিয়ে আমাদের সন্দেহ থাকেনা।

শেষ ফোঁটা বৃষ্টি ঝুলে আছে,
তুমি তাকে একদিক থেকে দেখো,
অন্যদিকে বৃত্তবন্দী জলের গোলক—

তাতে সুপ্ত থাকে
উড়ার বাসনা,
অজস্র উন্মাদ তিতিরের ইরাশা ভাষার মোহ

২১.০৩.২০২৪

যেকোনো ভঙ্গির থেকে শেষ পাখিটির উড্ডয়ন দৃশ্য রাজকীয় মনে হয়। অদৃশ্য রাতের সংশয় আসন্ন ব্লসমের সকল সম্ভাবনাকে ঈর্ষান্বিত করে তোলে।

ধীরে হাওয়াভঙ্গি রপ্ত করি, রপ্ত করি রোদের বক্রতা। মৃত্যুফাঁদে ঝুলে আছে আলো। ভোরের অপূর্ব এই দৃশ্য ভেবে ঘুম ভেঙে গেলে বহুদিন মনে হয় আকাঙ্ক্ষিত ট্রেন ছেড়ে গেছে অন্য যাত্রী নিয়ে।

সম্ভবতঃ গোলকধাঁধায় আছি, খুব কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কেউ, সরে যাচ্ছে নদী, সরে যাচ্ছে স্রোতের ভেতরে ভেঙ্গে পড়া ঢেউ

এই দূরত্ব অথবা বিস্মরণ শীতঘুম থেকে উঠে আসা যে কোনো ধূসর পাখির সংলাপ— মূলত মানুষ একলা থাকার চেয়ে একলা থাকার ভাণ করে ঢের।

০৪.০৩.২০২৪

সমুদ্রে সায়াহ্ন-ঢেউ
ফিরে আসে স্মৃতি,

তোমাকে ভুলবো বহুদিন মনে।

ঝাউপাতায় এলানো-সন্ধ্যা
বাজে রাধারমনের বাঁশি,

বিষণ্ণ পূর্ণিমা লাল পাহাড়ের ঢালে।

আঙ্গুলে জ্যোৎস্না ছুঁয়ে
আমি হই গৃহ-পরবাসী,

সব গ্রহণে সূর্যের পক্ষপাত থাকে।

১২.০৩.২০২৪

গুপ্ত হন্তারক এই নিশি
কুহেলি কুহেলি ক্ষণ— এত আলো,
চারিদিকে এত এত নিম ফুল ফোটে,
এ তো বড়ো দহনের কাল, দীর্ঘ আততায়ী!

আমাদের বাতুলতার ভেতরে ঢুকে পড়ে
লিকার-চা পান করা তৃষ্ণার্ত-সময়।
আমাদের বাতুলতার ভেতরে ঢুকে পড়ে নিকট সূর্যাস্ত।

শেষ লঞ্চ ছেড়ে দিলে
অকস্মাৎ ছল্কে ওঠা জলে
ক্ষীণ আয়ু নিয়ে ভেসে যাই দূরে,
ধীরে ধীরে …
দূরে নিশ্চিন্ত গন্তব্য থাকে ধীবর জীবনে।

অথচ বাগানবিলাসের অপূর্ব প্রতিভা নিয়ে
কেউ আমাকে ডাক্লোনা কোনোদিন!

ভ্রমণ অপূর্ন রেখে তাই
ফিরে যাই মৎস্য শিকারে—

২০.০৩.২০২৪

জিরোপয়েন্ট থেকে ফিরছি লাচুংএ।

নৈশগাইড স্মিত হেসে বললো :
এখানে রাত ধীরে আসে, দিন দ্রুত ডুবে যায়!

০৫.০৩.২০২৪

    Leave feedback about this

    • Rating

    PROS

    +
    Add Field

    CONS

    +
    Add Field