বইপত্র লিটিলম্যাগ

যাপনচিত্রে সন্দীপ দত্ত-র সাক্ষাৎকার | লিটিল ম্যাগাজিন


কলকাতার লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার ছিলেন প্রয়াত সন্দীপ দত্ত। লিটিল ম্যাগের জগতে তিনি ছিলেন কিংবদন্তি। কলকাতার যাপনচিত্র পত্রিকা লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে এবং ২০১৬ সালের পত্রিকাটির বইমেলা সংখ্যায় সেটি ছাপা হয়। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন যাপনচিত্রের পক্ষে সোমব্রত সরকার ও প্রবালকুমার বসু। এখানে সাক্ষাৎকারটি পুনঃপ্রকাশ করা হলো।

যাপনচিত্র থেকে

সন্দীপদা, কবে, কোন সময়ে এই লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা, এ বিষয়ে আপনি আগে বহুবার বহু জায়গায় বলেছেন। তবু যাপনচিত্র-এর পাঠকদের জন্য আমরা তথ্যের নিরিখে এই বিষয়গুলো ছুঁয়ে কিছু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাব। যাপনচিত্রকে সময় দেবার জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই।

যাপনচিত্র : কোন ভাবনা থেকে লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি (LML) শুরু করা?
সন্দীপ দত্ত : লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি গড়ে তোলার ভাবনার পিছনে একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত আছে। ৭২ সালের আসন্ন বি.এ পার্ট-টু দেওয়ার পাঠ প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। ওই বছর মে মাসের কোনো একটি দিনে বাংলা বিভাগের সামনে বহু লিটল ম্যাগাজিনকে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখি। কৌতূহলী হলাম। কর্তৃপক্ষের থেকে জানলাম ওগুলো রাখা হবে না, কারণ নিয়মিত বেরোয় না, বাঁধাইয়ের অসুবিধে। আমি অপমানিত বোধ করলাম। নিজে ‘পত্রপুট’ নামে একটি কাগজ করছি। মনে হল এ তো লিটল ম্যাগাজিনের অপমান। ন্যাশনাল লাইব্রেরি ছাড়লাম। ওই বছরই পার্ট-টু পরীক্ষা দেওয়ার পর ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর এই ঘটনার প্রতিবাদে বাড়ির একতলায় যেখানে আমাদের সদর দরজা আর ড্রইংরুম, সেখানে ৭৫০ পত্রিকা নিয়ে প্রদর্শন করলাম। এর দু’বছর পর বাড়ির নীচে একতলায় ড্রইংরুমে দেড় হাজার পত্রিকা নিয়ে লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির যাত্রা শুরু। তখন নাম ছিল ‘বাংলা সাময়িক পত্র পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’। সূচনা ১৯৭৮, ২৩ জুন। কোনো আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়নি। ডায়েরিতে লেখা আছে।

যাচি : সূচনার সময়ে কারা কারা আপনাকে সহযোগিতা করেন এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল?
সদ : সূচনায় সক্রিয় সহযোগিতা বলতে যা বোঝায় তা পাইনি। তবে কয়েকজনের কথা না বললে নয়। দেবুদা (দেবকুমার বসু)-র সার্বিক প্রেরণা ভুলতে পারি না। উনি নানা পত্রিকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তাপস ভবাই, ঋষিণ মিত্র, গৈরিকা দেবী, উত্তরসূরী পত্রিকার অরুণ ভট্টাচার্য, হেমস্ত আঢ্য প্রমুখ অনেকেই পত্রিকা দিয়ে সাহায্য করেছেন।

যাচি : সেই সময়ে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত কবি, লেখক বা সম্পাদক ছিলেন তাঁরা কীভাবে সহযোগিতা করেন?
সদ : কবি অরুণ মিত্র, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ তাঁদের সংগ্রহের মূল্যবান পত্রিকা দিয়ে সাহায্য করেন। উত্তরসূরী পত্রিকার সম্পাদক অরুণ ভট্টাচার্য ও একক সম্পাদক শুদ্ধসত্ত্ব বসু নিয়মিত পত্রপত্রিকা দিতেন লাইব্রেরিকে। ড. অলোক রায়ও দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা দিয়ে সাহায্য করেছেন।

যাচি : দেবকুমার বসু দীর্ঘদিন আপনার প্রতিবেশী (প্রকাশনা দপ্তর) তাঁর কী অবদান ছিল এই লাইব্রেরির সূচনা পর্বে বা পরবর্তী সময়ে?
সদ : দেবুদা আমার সাহিত্য জীবনের অন্যতম অভিভাবক ছিলেন। সাতের দশকের গোড়ায় ওঁর সঙ্গে আলাপন ও ওঁর সান্নিধ্যে আসা আমার জীবনকে অন্য মোড়ে নিয়ে গেল। ওঁর আড্ডায় দেখলাম অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখক-কবি-লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদককে। যখন আমি জীবিকার সন্ধান করছি, উনি প্রকাশক হওয়ার পরামর্শ দেন। লাইব্রেরির জন্য বহু লিটল ম্যাগাজিন প্রদান করাই নয়, আমাকে নানাভাবে সারাজীবন প্রাণিত করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। কত লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ‘৭২ সালে প্রদর্শনীতে সদলবলে উপস্থিত হয়েছেন প্রদর্শনী দেখতে। ওঁর আন্তরিক প্রশ্রয় ভুলি কী করে?

যাচি : আপনার দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল এই লাইব্রেরি এখন একটি প্রতিষ্ঠান প্রায়। এর সম্পর্কে ভবিষ্যৎ ভাবনা কী?
সদ : আমি স্বপ্ন দেখি আন্তর্জাতিক ভাবে এই লাইব্রেরিকে গড়ে তোলার। স্বপ্ন দেখি লিটল ম্যাগাজিন ভবনের। কে জায়গা দেবে? অনেকেই তো ধান্দাবাজি করে পার্টফার্টি করে অনেক কিছু পান। আমাদের ওসব নেই। তবে কি স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ ভাবনা রূপায়িত হবে না?

যাচি : এই সময়ের বিশ্বায়ন, আর্থ-সামাজিক পরিবেশ, পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়া এইরকম অবস্থায় এই লাইব্রেরির প্রাসঙ্গিকতা কী বলে আপনার মনে হয়? আপনার ভাবনায় এর তাৎপর্যই বা কী?
সদ : না না, এসব কোনো বিষয় নয়। সময়টা ভালো নয়। পলাতক সবাই। ঠিকই। কিন্তু বিদ্যাচর্চার জ্ঞানচর্চার যতদিন মূল্য থাকবে ততদিন এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব থেকেই যাবে।

যাচি : সাধারণ পাঠক, লেখক, কবি এই লাইব্রেরি কি ব্যবহার করেন? পাঠক, গবেষকরা কি কেবল কলকাতাকেন্দ্রিক? না বাইরের বা দূরের মানুষও আসেন?
সদ : এখানে ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক, গবেষক, তথ্যানুসন্ধানী সাধারণ পড়ুয়া সবাই আসেন। তবে কবি লেখকরা যদি মনে করেন লিটল ম্যাগাজিন পড়ার দরকার নেই লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরিতে গিয়ে, তবে আসবেন কেন? মুষ্টিমেয় লেখক কবি আসেন। সাম্প্রতিক লেখালেখিগুলো পড়েন। হারিয়ে যাওয়া লেখা উদ্ধারেও তাঁরা এসে থাকেন।

যাচি : লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি কি কোনো পরিসংখ্যানগত তথ্য রাখে? যেমন কোন জেলা থেকে কত পত্রিকা প্রকাশ পেয়েছে ইত্যাদি?
সদ : আমরা প্রবন্ধর বিবলিওগ্রাফি নিয়মিত করে থাকি। তথ্য, পরিসংখ্যান রাখার চেষ্টা করি।

যাচি : এখনো অবধি আপনার লাইব্রেরির সংগ্রহে কতগুলো পত্রিকা রয়েছে?
সদ : সত্তর হাজার লিটল ম্যাগাজিন।

যাচি : কেউ কোনো লেখার রেফারেন্স চাইলে কীভাবে খুঁজে বার করেন?
সদ : আমাদের বিষয়ানুযায়ী সব র্যা কে রাখা থাকে। বিষয় বা লেখকের নাম বললে তা পাঠকের কাছে তুলে দিই। অথবা ডায়েরিতে বিষয়গুলি নথিভুক্ত করলে তা পরবর্তীকালে বের করে পাঠকের হাতে তুলে দিই। রবীন্দ্রনাথ, লোকসংস্কৃতি, নাটক, চলচ্চিত্র-র র্যাক থেকে পাঠকরা নিজের মতো করে পত্রিকা খুঁজে নিয়ে পড়াশানা করতে পারেন।

যাচি : লাইব্রেরির সংগ্রহের পত্রিকাগুলোর ডিজিটাইজেশনের কী উদ্যোগ নিয়েছেন?
সদ : IFA (ব্যাঙ্গালোর) ১৪৫০টি দুষ্প্রাপ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবার ডিজিটাইজ করেছে। বেঙ্গলি উইকিপিডিয়া সম্প্রতি ডিজিটাইলের কাজ শুরু করেছে।

যাচি : ডিজিটাইজেশন হলে, ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে কেউ (অবশ্যই অর্থের বিনিময়) কি কোনো পত্রিকা সম্পূর্ণ পড়তে পেতে পারে লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির ওয়েবসাইট আছে?
সদ : সাবস্ক্রিপশন দিয়ে পড়তে হবে। তবে এসব ভাবনাচিন্তার মধ্যেই রয়েছে। ওয়েব সাইট আপাতত বন্ধ আছে। ফেসবুক-এ আছি।

যাপি : শুরু থেকে এই লাইব্রেরির অর্থের সংস্থান কীভাবে হয়েছে? এখন কীভাবে হয়? এই ধরনের প্রকল্পে সরকারের নানান অনুদান আছে তার জন্য কখনো আবেদন করেছেন?
সদ : প্রথম ১৭ বছর চাঁদা ছিল না। চার আনা বা যেকোনো অর্থ ডোনেশান দিয়ে অথবা না দিয়েও পড়াশোনা করা যেত। ১৯৮৯ থেকে বার্ষিক চাঁদা ছিল ১০ টাকা। ১৯৯৫- ৯৬ সালে লাইব্রেরি রেজিস্টার্ড হওয়ার পর বার্ষিক চাঁদা ও আজীবন চাঁদা ছিল ২০ ও এক হাজার টাকা, যা এখন ৬০০ ও ৩০০০ হাজার টাকা। না, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেভাবে আবেদন করা হয়নি।

যাচি : হয়তো অসাধ্য, তবু প্রশ্ন রাখছি, এই যে এত পত্রিকা, আপনি নিজে মোটামুটি ওয়াকিবহাল যে কোন পত্রিকায় কী আছে?
সদ : কোন পত্রিকায় কী আছে তা মোটামুটি আমার স্মরণে থাকে। স্মৃতিনির্ভর মাথাকে চালিত করি।

যাচি : আপনার লাইব্রেরিতে কী কী দুষ্প্রাপ্য সম্ভার রয়েছে? সেসব নথি, পত্রিকা, বইগুলিকে কীভাবে জীর্ণ দীর্ণ দশার হাত থেকে রক্ষা করা হয়?
সদ : তত্ত্ববোধিনী (১৮৫৮), বঙ্গদর্শন (১ম বর্ষ ১ম সংখ্যা-সহ এক বছর), আর্যদর্শন, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, অনুবর্তন, জন্মভূমি, বিচিত্রা, সবুজপত্র, উন্মোচন, সাহিত্য, পরিচয়, কবিতা, যাত্রাভিষণ, স্বাধীনতা, পূর্বাশা, কুন্তলীন পুরস্কার, Calcutta Police Journal (1st year 1st issue 1839), বিশ্বভারতী, সুন্দরম, সারস্বত, এক্ষণ, গৃহস্থ ও অন্যান্য নানান দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা আছে। নিয়মিত কীটনাশক ওষুধ দেওয়া হয়। বইপত্রিকা বাঁধানো হয়ে থাকে।

যাচি : লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরিতে পত্রিকা, বই সংগ্রহ ব্যাপারে উদ্যোগগুলি বর্তমানে কী কী? যেসব বই, পত্রিকা পাওয়া যায় উপহার হিসেবে তার বাইরে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ বই, পত্রিকা সংগ্রহে কতখানি উদ্যোগ থাকে?
সদ : এগুলো হওয়া খুবই দরকার। হয়েও উঠেছে কিছু। এরজন্যে যথেষ্ট সময় দরকার। নিজেকে দিয়ে দিতে হবে এ কাজে। নিয়মিত পত্রিকা আপডেট করতে হবে।

যাচি : লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরিকে বিভিন্ন সাহিত্য, শিল্প, গবেষণার মাধ্যমকে বর্তমানে সম্মানিত করার চেষ্টা করছে এই উদ্যোগ নিয়ে যদি কিছু বলেন। লাইব্রেরিটি কি পত্রিকা নথি, বইয়ের ক্যাটালগিং-এ হাত দিয়েছে? গবেষকদের আপনার এই বিষয়ে সাহায্য করেন কীভাবে?
সদ : এই লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি করতে গেলে পত্রিকা প্রাপ্তিযোগের আশায় বসে থাকলে হবে না। নিয়মিত সংগ্রহ করে যেতে হবে। আমরা নিয়মিত বই পত্রিকা (নির্বাচিত) সংগ্রহ করে থাকি। গবেষণার বিষয় নানাবিধ। আধুনিক সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, সংগীত, নৃত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিশুসাহিত্য, লোকসংস্কৃতি নানা বিষয়ে গবেষণা করতে পাঠকেরা আসেন। আকাদেমিক অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা গবেষককে তার চাহিদা অনুযায়ী বিষয় ভাবনার লেখা বা পত্রিকার সংখ্যা নিয়ে সাহায্য করি।

যাচি : লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি বিভিন্ন সাহিত্য, শিল্প, গবেষণার মাধ্যমকে বর্তমানে সম্মানিত করার চেষ্টা করছে। এই উদ্যোগ নিয়ে কিছু যদি বলেন।
সদ : আমরা প্রথমে লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার ও গবেষক সম্মাননা শুরু করি ১৯৯০ সাল থেকে। নির্বাচিত লিটল ম্যাগাজিনের গুণমান দেখে পুরস্কার দেওয়া হয়। কলকাতা, জেলা, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের কোনো রাজ্য থেকে প্রকাশিত বাংলা লিটল ম্যাগাজিন এবং বাংলাদেশের লিটল ম্যাগাজিনকে দেওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এখানে কাজ করে থাকে। তাদের কাজের নিরিখে সম্মাননা তুলে দিই, সবাইকে নয়। সারস্বত সম্মাননার সূচনা হয় ২০০২ সালে। অনেক মানুষজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন নিভৃতে। তাঁদের সারস্বত সম্মাননা জানানো হয়। ২০১২ থেকে ছোটোগল্পকার সম্মাননা ও ২০১১ থেকে তরুণ প্রাবন্ধিক সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

যাচি : বাণিজ্যিক পত্রিকা, বড়ো কাগজের লেখক এই সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
সদ : আমি ভালো তথ্যনিষ্ঠ লেখা পড়তে চাই। বড়ো কাগজ ছোটো কাগজ ভেবে নয়, এরকম শুচিবায়ুগ্রস্ততা আমার নেই। তবে বাণিজ্যিক পত্রিকা সামান্য রেফারেন্স হিসেবে রাখলেও আমাদের লাইব্রেরির কাজ শুধুমাত্র লিটল ম্যাগাজিন নিয়েই।

যাচি : লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি কি পত্রিকা নথি, বইয়ের ক্যাটালগিং-এ হাত দিয়েছে? গবেষকদের আপনারা এ বিষয়ে সাহায্য করেন কীভাবে?
সদ : সাধারণত, যেকোনো লাইব্রেরিতে পাঠক ক্যাটালগ দেখে রেফার করেন। আমাদের এখানে পাঠক কী নিয়ে কাজ করবেন বললেই পাঠকের কাছে তা তুলে ধরি। আমরা সম্প্রতি পত্রিকার সূচিপত্র নথিভুক্তকরণে হাত দিয়েছি।

উৎস : যাপনচিত্র বইমেলা ২০১৬

    Leave feedback about this

    • Rating

    PROS

    +
    Add Field

    CONS

    +
    Add Field