চলচ্চিত্র শিল্পকলা

বাংলাদেশের ছোটগল্প-ভিত্তিক চলচ্চিত্র | অনুপম হায়াৎ | চলচ্চিত্র

সাহিত্য ও চলচ্চিত্র দুটোই শিল্প ও সংস্কৃতি-মাধ্যম । দুটোই মূলত আবর্তিত হয় মানুষ, জীবন ও সমাজ নিয়ে। সাহিত্য লিখিত বা মুদ্রণ-মাধ্যম। আর চলচ্চিত্র প্রযুক্তিনির্ভর মাধ্যম। সাহিত্য সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন পাঠকের জন্য। এটি পাঠ বা অধ্যয়ন করতে হয়।

অন্যদিকে চলচ্চিত্র দৃশ্য-শ্ৰুত মাধ্যম। এটি দেখতে হয়, অবলোকন করতে হয়। সাহিত্য পাঠ করে আর চলচ্চিত্র দেখে মানুষ অনেক কিছু জানতে, শিখতে, বুঝতে এবং বিনোদিত, প্রভাবিত হতে পারে। সত্য, সুন্দর আর কল্যাণকে স্পর্শ করেই দুটো মাধ্যম পাঠক-দর্শকদের কাছে সমাদৃত হয়।

সাহিত্যের ইতিহাস অনেকদিনের, প্রাচীনতর, কয়েক হাজার বছরের। আর চলচ্চিত্রের ইতিহাস মাত্র ১১৫ বছরের। ১৮৯৫ সালে ২৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সের দুই বিজ্ঞানী-ভ্রাতা অগাস্ত লুমিয়ের ও লুই লুমিয়ের কর্তৃক চলচ্চিত্র আবিষ্কার পূর্ণতা পায়।

চলচ্চিত্র সপ্তকলার সমন্বয়ে গঠিত। সাহিত্যের গল্প, কবিতা, নাটক এর মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সংগীত, স্থাপত্য, নৃত্য, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফির সমন্বয়। অন্যদিকে সাহিত্যের রয়েছে উপন্যাস, গল্প, কবিতা, নাটক, গান, ছড়া ও প্রবন্ধ ইত্যাদি শাখা। সাহিত্য যেমন সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের জন্য তেমনি চলচ্চিত্র চক্ষুষ্মানদের জন্য। সাধারণভাবে চলচ্চিত্র দেখতে, শুনতে, বুঝতে, অনুভব করতে শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। তাই সাহিত্যের পাঠকের চেয়ে চলচ্চিত্র দর্শকের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। কেননা সারা পৃথিবীতেই অশিক্ষিত বা সাক্ষরজ্ঞানহীন লোকের সংখ্যাই বেশি। সংখ্যাগত দিক দিয়ে তাই চলচ্চিত্রের প্রভাব ও ক্ষমতা অনেক বেশি। অবশ্য বিষয়টি স্থানকালপাত্র সাপেক্ষ।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কয়েক শত বছরের পুরনো। আর বাংলা চলচ্চিত্রের বয়স মাত্র শতবর্ষ পেরিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বয়স মাত্র অর্ধশতকের (১৯৫৬-২০১১) বেশি। বাংলাদেশে শিক্ষার হার কম। তাই তাদের কাছে সাহিত্য অপাঠ্যই থেকে যায়, থেকেও যাচ্ছে। তারা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ পড়তে পারে না। তবে তারা সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘পথের পাঁচালী’ দেখতে পারে এবং এর পাত্র-পাত্রী সর্বজয়া, অপু, দুর্গাদের সুখ-দুঃখ, আশা-হতাশা বুঝতে পারে। কেননা চলচ্চিত্র একদিকে যেমন আকর্ষণীয় মাধ্যম, স্বপ্নের দেশ তেমন অনেক বেশি প্রত্যক্ষ। পর্দায় প্রতিফলিত দৃশ্য দেখে মনে হয় বাস্তবে যেন চোখের সামনে ঘটছে, একেবারে জীবন্ত হয়ে। সাহিত্যে কিন্তু এরকম উপস্থাপন সম্ভব হয় না। চলচ্চিত্রের ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’র জয়গুন, ‘দেবদাস’-এর পার্বতী, ‘সিরাজউদ্দৌলা’র সিরাজ অনেক আকর্ষণীয়, জীবন্ত ও প্রভাব বিস্তারকারী। সাহিত্যে যে কথা বা ভাব ফুটিয়ে তুলতে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখতে হয়, অন্যদিকে চলচ্চিত্রে তা একটিমাত্র দৃশ্যে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।

দুই

১৯৫৬ থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে প্রায় তিন হাজার পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে সাহিত্যভিত্তিক চলচ্চিত্রও রয়েছে। অনেক উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক এমনকি কবিতা অবলম্বন স্বাবলম্বন করেও এসব সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সাহিত্যভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো দেশ-বিদেশে পেয়েছে সম্মাননা ও স্বীকৃতি। অন্যদিকে দেশের বর্তমান দর্শকগোষ্ঠী পরিচিত হয়েছে এদেশের সাহিত্যভিত্তিক কাহিনি জীবন ও সমাজের সঙ্গে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখছে অতীতকে, নিজের শেকড়কে। বাংলাদেশে নির্মিত যে ক’টি চলচ্চিত্র মৌলিক, রুচিশীল, সৃজনশীল ও বাস্তবানুগ হিসেবে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি ও সম্মাননা পেয়েছে তার বেশির ভাগই সাহিত্যভিত্তিক। ঢাকার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শেক্সপিয়র, দস্তইয়েফ্স্কি, ম্যাক্সিম গোর্কি থেকে শুরু করে হুমায়ুন কবীর, নজিবর রহমান, জসীম উদদীন, আকবর হোসেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, আশরাফ সিদ্দিকী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সেলিনা হোসেন, রাবেয়া খাতুন, শওকত আলী, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, নির্মলেন্দু গুণ প্রমুখের উপন্যাস-গল্প-নাটক-কবিতা চিত্রায়িত হয়েছে।

তিন

আমাদের আলোচনার প্রতিপাদ্য বিষয় বাংলাদেশের ছোটগল্প-ভিত্তিক চলচ্চিত্র। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৯৬৫ থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত যেসব ছোটগল্প-ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি ও পর্যালোচনা। তবে সময়, স্থান ও অন্যান্য কারণে এই নিবন্ধে ছোটগল্প-ভিত্তিক চলচ্চিত্রের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা, আলোচনা, সমালোচনা বা নান্দনিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। প্রথমেই দেখা যাক ছোটগল্প-ভিত্তিক চলচ্চিত্রের একটি পরিসংখান –

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ (১৯৬৪), বেবী ইসলামের ‘তানহা’ (১৯৬৪), সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ (১৯৬৭), খান আতাউর রহমানের ‘সুখ-দুঃখ’ (১৯৭১), রাজেন তরফদারের ‘পালঙ্ক’ (১৯৭৬), সুভাষ দত্তের ‘ডুমুরের ফুল’ (১৯৭৮), আজিমুল হকের ‘মহানগর’ (১৯৮১), খান আতাউর রহমানের ‘ডানপিটে ছেলে’ (১৯৮১), জাহিরুল হকের ‘প্রাণসজনী’ (১৯৮৪), আবু সায়িদের ‘আবর্তন’ (১৯৮৬), মোরশেদুল ইসলামের ‘বৃষ্টি’, রাজ্জাকের ‘জিনের বাদশা’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘শাস্তি’ (২০০৫), ও ‘সুভা’ (২০০৫), কাজী হায়াৎ-এর ‘কাবুলীওয়ালা’ (২০০৫), মতিন রহমানের ‘রাক্ষুসী’ (২০০৫), মৌসুমী ও গুলজারের ‘মেহের নিগার’ (২০০৬), নার্গিস আখতারের ‘চার সতীনের ঘর’ (২০০৫) ও’‘অবুঝ বউ’ (২০১০) ইত্যাদি। এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে শুধু ৩৫ ও ১৬ মিলিমিটার ফিল ফরম্যাটে তৈরি চলচ্চিত্র নিয়ে। ডিজিটাল ফরম্যাটে তৈরি চলচ্চিত্র তালিকাভুক্ত হয়নি। কেননা দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ফরম্যাটে ছোটগল্প নিয়ে কতগুলো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে সেই তথ্য সম্পর্কে লেখক অবহিত নন।

চার

ছোটগল্প-ভিত্তিক কয়েকটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা যাক।

সুতরাং (১৯৬৪)

সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে শচীন ভৌমিকের ছোটগল্প ‘একটি নিছক প্রেম’ অবলম্বনে। গ্রামীণ পটভূমিকায় কিশোর প্রেমের এই গল্পটিতে রয়েছে অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথাও। ১৯৬০ সালে গল্পটি কলকাতার ‘জলসা’ পত্রিকায় পড়েছিলেন সুভাষ দত্ত। তিনি তখনও চিত্রপরিচালক হননি। সিনেমার বিজ্ঞাপনের ডিজাইনার এবং কৌতুকাভিনেতা হিসেবে তিনি তখন পাকিস্তানের উভয় অংশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার প্রথম ছবি পরিচালনার জন্য গল্পটি বেছে নেন এবং অনুমতি চেয়ে শচীন ভৌমিকের কাছে চিঠি লেখেন। শচীন ভৌমিক ব্যক্তিগতভাবে জবাব না দিয়ে অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সঙ্গে পত্রিকার প্রশ্নোত্তর বিভাগে এর জবাব দেন। সুভাষ দত্ত মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে গল্পের কিছুটা পরিবর্তন করে কাহিনিকার হিসেবে প্রযোজক নীলুফার খায়েরের নাম দিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। পরিচ্ছন্ন, রুচিশীল ও সাধারণ শিল্পশোভন ছবি হিসেবে ‘সুতরাং’ দেশ-বিদেশে পুরষ্কৃত ও প্রশংসিত হয়। এ ছবিতে নবাগত কবরী ও সুভাষ দত্তের অভিনয়, প্রেম-বিরহ, সুমধুর গান, সহজ সরল নির্মাণশৈলী দর্শকদের কাছে সমাদৃত হয়। উর্দু ছবির ভিড়ে ‘সুতরাং’ ১৯৬০-এর দশকে একটি আলাদা স্থান করে নেয়। সাহিত্যের ছোটগল্প থেকে বড় পর্দায় চলচ্চিত্ররূপে ‘সুতরাং’-এর গানগুলো লোকের মুখে মুখে ফিরতে থাকে। বিয়োগান্তক পরিণতিতে ছবির নায়িকা জরিনার (কবরী) মৃত্যু ঘটে, সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে। জরিনার প্রাক্তন প্রেমিক জব্বার (সুভাষ দত্ত) তাকে শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারে না। তবে তার সন্তান বেঁচে থাকে এবং জব্বার জরিনাকে বিয়ে করার জন্য সঞ্চিত অর্থ নবাগত শিশুটির ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেয়। ছবির গল্পটি ফ্লাশব্যাকে বর্ণিত হয় এক সাহিত্যিকের কাছে। ছবির কাহিনি দর্শকহৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করে।

আয়না ও অবশিষ্ট (১৯৬৭)

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একসঙ্গে দুটো ছোটগল্প নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুভাষ দত্ত ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ নামে। ‘আয়না’ গল্পটির লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মূল গল্পটির নাম ‘রোকেয়ার মুখ’। ‘অবশিষ্ট’ গল্পটির লেখক সাংবাদিক-সাহিত্যিক আমিনুজ্জামান। ‘চিত্রালী’তে প্রকাশিত ‘আমি সে ও বেবী আপা’ অবলম্বনে ‘অবশিষ্ট’ নির্মিত হয়েছে। আসলে ছবিটি ছিল দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চিত্রের সমাহার। শিল্পশোভন ও রুচিশীল ছবি হিসেবে ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ প্রশংসিত হয়েছিল।

সুখ দুঃখ (১৯৭১)

কাজী নজরুল ইসলামের ‘পদ্মগোখরো’ গল্প অবলম্বনে খান আতাউর রহমান ১৯৭১ সালে ‘সুখ দুঃখ’ নামে ছবি নির্মাণ করেন। এ ছবির গল্পের সাপের প্রতি মানুষের (সন্তানহীন মায়ের) মমত্ববোধ অন্যদিকে ধনসম্পদের প্রতি লোভের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

ডুমুরের ফুল (১৯৭৮)

সুভাষ দত্ত ১৯৭৮ সালে আবার ছোটগল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন ‘ডুমুরের ফুল’ নামে। এই ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে আশরাফ সিদ্দিকীর বিখ্যাত ছোটগল্প ‘গলির ধারে ছেলেটি’ অবলম্বনে। এতিম লাডু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যায়। সুস্থ হওয়ার পর আর হাসপাতাল ত্যাগ করতে চায় না। হাসপাতালের নার্স রোকেয়ার আদর-যত্ন তার মাঝে নতুন চেতনার জন্ম দেয়। পরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করে। ছবির প্রয়োজনে এই গল্পে নতুন চরিত্র রোকেয়ার প্রেমিক ও তাদের প্রেম সংযোজন করা হয়েছে। এসব সত্ত্বেও ছবিটির নির্মাণকুশলতা প্রশংসাযোগ্য হয়েছিল। ছবিটি দেশ-বিদেশে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়েছিল।

আবর্তন (১৯৮৬)

আলাউদ্দিন আল আজাদের ছোটগল্প ‘ছাতা’ অবলম্বনে আবু সায়ীদ ‘আবর্তন’ নির্মাণ করেন। ১৯৮০-এর দশকে যে স্বল্পদৈর্ঘ্য, বিকল্পধারার চলচ্চিত্রের উত্থান ঘটে ‘আবর্তন’ ছিল তারই নান্দনিক প্রচেষ্টা।

বৃষ্টি (১৯৮৯)

আলাউদ্দিন আল আজাদের আরেকটি ছোটগল্প ‘বৃষ্টি’ অবলম্বনে ছবি নির্মাণ করেন মোরশেদুল ইসলাম। ‘বৃষ্টি’ও ছিল বিকল্পধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছবিটিতে রয়েছে সৃজনশীলতার স্বাক্ষর।

শাস্তি (২০০৫), সুভা (২০০৫), কাবুলীওয়ালা (২০০৫)

বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের সম্রাট হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর গল্প ‘শান্তি’ অবলম্বনে ‘কাঠগড়া’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম, ১৯৮০ দশকে। কিন্তু সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তবে চাষী থেমে থাকেননি। পরবর্তীকালে তিনি একই ছোটগল্প নিয়ে একই নামে ‘শান্তি’ এবং অন্য আরেকটি রবীন্দ্রগল্প নিয়ে ‘সুভা’ নির্মাণ করেন। তার দুটো ছবিই সুধীমহলে প্রশংসিত হয়েছে। পরিচালক কাজী হায়াৎ রবীন্দ্রগল্প নিয়ে ‘কাবুলীওয়ালা’ বানিয়েছেন। ছবিটি আলোচিত হয়নি। তবে কাবুলীওয়ালা চরিত্রে রূপদানকারী মান্না দাবি করেছেন, এটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনীত চিত্র।

অবুঝ বউ (২০১০)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ গল্প অবলম্বনে নার্গিস আখতার ‘অবুঝ বউ’ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ।

রাক্ষুসী (২০০৬), মেহের নিগার (২০০৬)

কাজী নজরুল ইসলামের ছোটগল্প নিয়ে মতিন রহমান ‘রাক্ষুসী’ এবং মৌসুমী ও গুলজার ‘মেহের নিগার’ বানিয়েছেন। দুটো ছবিতেই বিনোদন ফর্মুলা প্রাধান্য পেয়েছে।

উৎস : শফিক হাসান সম্পাদিত ছোট কাগজ ‘প্রকাশ’, বর্ষ ০৮, সংখ্যা ০৫, নভেম্বর ২০১১।

অনুপম হায়াৎ
প্রাবন্ধিক, চলচ্চিত্র-গবেষক। প্রাক্তন অধ্যাপক, স্ট্যামফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

    Leave feedback about this

    • Rating

    PROS

    +
    Add Field

    CONS

    +
    Add Field