তীরন্দাজ নববর্ষ সংখ্যা
০১.
আঁতগুলো খনন শেষে পেয়েছিলাম ভূতল জুড়ে অন্ধকার। ডোপামিনরা বোতামবদ্ধ গলায় গাইছে বেগুনি বিড়ালের কয়েকটি কর্কশ গান। দৃশ্যত সেসব কি মাতৃত্বের সমাধি? যেখানে পৌঁছে চিরকালের জন্য আটকে আছি ধোঁয়াশাভরা অসুখ নিয়ে— আর কতদূর, বলতে বলতে ব্যান্ডেজে মোড়ানো সুটকেস থেকে বেরিয়ে এলো হাজারো ঘুমন্ত আলো। উল্লাসের ঢেউয়ে ঢেউয়ে বদলে যাচ্ছে গত জন্মের লিপিমালা। গুল্মবিষয়ক কনফারেন্সে বলি এই তো সেই হীরা-জহরত; যাদের ষড়যন্ত্রে পূর্বমায়েরা আপলোড করে গেছেন গুপ্ত গ্রহে বসবাসের গোপন ভাষা ও সংগীত।
০২.
তবু পরম্পরার নামে বৃক্ষরা অসূয়া বীজ বুনে যাচ্ছে
ভুলে ভরা কৃচ্ছ্রতায়
সময় দৌড়াচ্ছে জাপানি শিশুদের মতো
মনে রেখো প্রতীত্যসমুৎপাদের হৃদয় কখনো
কাদার ফোয়ারায় আটকায় না কিংবা ক্রিয়াশীল মৎসদের ডানা…
তবে কেন
মৃতদের প্রবচনে লিখছো মূঢ়জনের মাকাল শ্লোক
ও’হে মোহগ্রস্ত মৌমাছি
প্রাচীন ফসিলগুলো রেখে দাও
মিউজিয়াম কিংবা পিনোনের পাঁজরে
যেন ভিন্ন ভিন্ন সুরে জুমেরা গেয়ে উঠে শিশুদের বাজনায়।
০৩.
দশফর্মার জীবন নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে…
জলপাখিদের বাতাবরণে জেনে যাই—
আমাদের মনের ভেতর নব্বই অংশ অন্ধকার জমে কিলবিল করছে
তাই তৃতীয় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে—
সমুদ্রের পোর্ট্রেট করে যাচ্ছি— শামুকের ভাষাবিজ্ঞানে
যেখানে কুমারীরা বহুরৈখিক বাতাসে— ঋতুমতীর গ্রাফিতি আঁকছে…
এই থিওরির পথ ধরে আমি অনাগত—
সেকেন্ড ও মিনিটদের সাজাই মসৃণ বেলপত্রে
আর পেঁচার চিরায়ত সুরে যমের দামামা বাজালে
আয়ুরা কমতে কমতে মার্কণ্ডেয় পুরাণ হয়ে উঠে…
০৪.
অ্যাপোলোর প্রপৌত্রদের আভূষণে
বন্দরঘেঁষা জাহাজের বাজনায়
হাড় কাঁপা রাতগুলো নেচে ওঠে…
তবুও নাবালকেরা নামতা শেখার আগেই প্রলুব্ধ বাইসনের মহিমায়…
হে ঝিরি পথ
তোমার মননে
কে কার্নিভাল নীতি পুশ করে গেলো
সমঝোতাহীন তকমায়
শোনো
অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা তামাশার ছক
আঁকছে
তারাই নাসাবদ্ধ হরফে লিখে যাচ্ছে ইচ্ছা ও অনিচ্ছার কিতাব।
০৫.
মস্তক কাটা ঘড়িগুলো
সকালকে ঘামিয়ে তুলছে রক্তাক্ত কফির ধোঁয়ায়
হে পর্বতমালা
এসব কি বৈদিক কিংবা ডলারের পুঁতে রাখা ডিজিজ নয়?
যাদের ফর্মুলায়
তুমি আমি পাষাণের ভূখণ্ড আঁকছি পূর্ণতায়
তবু ডেথ অফ সিরিয়াসনেসের তালে
আমাদের সন্তানগণ—
বিদ্বেষ বুনোবুনি করে
সেসব গান লিখে যাচ্ছে থ্যালিসের গোঁফে…
Leave feedback about this